প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
ঋতুস্রাবের এখনও বেশ কিছু দিন বাকি। অথচ বাথরুমে গিয়ে দেখলেন সামান্য রক্ত লেগে রয়েছে অন্তর্বাসে। তারপর বাকি দিনটায় আর এমন কিছু হল না। ফের পরদিন একই কাণ্ড। দিনে খুব অল্প সময়ের জন্য এক ফোঁটা-দু’ফোঁটা রক্ত। বাকি সময়টা আর কোনও রকম ব্লিডিং নেই। এই সমস্যার নাম স্পটিং। বহু মেয়েরই এমন হয়ে থাকে মাঝে মাঝে। কেন এমন হতে পারে, জেনে নিন।
১। গর্ভনিরোধক ওষুধ: প্রথম কোনও রকম হরমোনের ওষুধ খাওয়া শুরু করলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিংবা হঠাৎ ওষুধ পাল্টালে বা ঠিক মতো রোজ ওষুধ না খেলেও স্পটিং হতে পারে।
২। ওভিউলেশন: অনেকে মেয়েরই ডিম্বস্ফোটন বা ওভিউলেশনের সময়ে অল্প স্পটিং হতে পারে। রক্তের রঙের চেয়ে একটু ফিকে হয় এর রং। ঋতুস্রাবের প্রথম দিনের ১১ দিন থেকে ২১ দিনের মধ্যে যে কোনও সময় এমন হতে পারে।
৩। অন্তঃসত্ত্বা হলে: ভ্রুণ যখন প্রথম জরায়ুর দেওয়ালে প্রবেশ করে অনেকের সেই সময়ে সামান্য স্পটিং হতে পারে। তবে এটি সকলের ক্ষেত্রে হয় না। স্পটিং হওয়া মানেই ধরে নেবেন না আপনি অন্তঃসত্ত্বা।
৪। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়: বেশ কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে অন্তঃসত্ত্বা মেয়েদের স্পটিং হচ্ছে। বিশেষ করে প্রথম ৩ মাসে। এমনিতে খুব বেশি চিন্তার কারণ নেই। কিন্তু স্পটিং বেড়ে যদি অনেক রক্তপাত হয়, তা হলে অবিলম্বে হাসপাতালে যেতে হবে। গর্ভপাত বা টিউবাল প্রেগন্যান্সির কারণ হতে পারে সেটি।
৫। জরায়ুতে জটিলতা: ফাইব্রয়েড, পলিপ বা ক্যানসারের মতো রোগের ক্ষেত্রেও প্রথম উপসর্গ স্পটিং। পলিসিস্টিক ওভারি, এনড্রোমেট্রিয়োসিস বা অন্য কোনও টিউমার হলেও এই সমস্যা হঠাৎ দেখা দিতে পারে।
৬। মানসিক চাপ: অনেক সময়ে মানসিক চাপ বাড়লে বা রোজকার রুটিনে খুব গোলমাল হলেও স্পটিং হতে পারে মেয়েদের
৭। যৌনরোগ: গনোরিয়ার মতো যৌনরোগের ক্ষেত্রেও প্রথম উপসর্গ স্পটিং। পাশাপাশি অন্য কোনও উপসর্গ রয়েছে কিনা খেয়াল করুন।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন
এমনিতে স্পটিং নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। স্বাভাবিক নিয়মেই বন্ধ হয়ে যায় এই সমস্যা। কিন্তু স্পটিং হওয়া কালীন অন্য কোনও উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কি না, খেয়াল করতে হবে। যেমন জ্বর, খুব বেশি রক্তপাত, পেটে অস্বাভাবিক ব্যথা, অল্পতেই কেটে যাওয়া, মাথা ঘোরার মতো উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy