বৃহস্পতিবার কলকাতায় শীতলা পুজোর অনুষ্ঠানে মমতা। নিজস্ব চিত্র
নিজের জীবন থেকে শেখা নানা টোটকা বিভিন্ন সময়েই শোনান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অতীতে উদ্বেগ কমাতে হিজিবিজি কাটার পরামর্শ শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। দু’দিন আগেই ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ অগ্রবালকে ভুড়ি কমানোর পরামর্শ দিতে গিয়ে সকালে পকোড়া খাওয়া ছাড়তে বলেছেন। বৃহস্পতিবার জানালেন খুশি থাকার টোটকা। মমতার মনে করেন, খুশি থাকার সবচেয়ে ভাল ওষুধ হাসি। আর কী ভাবে হাসতে হবে তার জন্য সেরা উপায় প্রাণখোলা আড্ডা।
কলকাতায় একটি শীতলা পুজোর অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মমতা। সেখানেই উদ্যোক্তাদের সামনে কথা বলতে গিয়ে তিনি সকলের জন্য পরামর্শ দেন। বলেন, ‘‘প্রাণ খুলে হাসতে হবে। আর তার জন্য লাফিং ক্লাবে যাওয়ার দরকার নেই। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে মজার গল্প, আড্ডার মধ্যেই হাসতে হবে। আর তাতেই মন, শরীর ভাল থাকবে।’’
জীবনশৈলির এমন নানা পরামর্শ যে মমতা নিয়মিত দিয়ে থাকেন তা জানেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। আবার অনেক সময়ে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক সভামঞ্চ থেকেও তাঁকে এমন নানা পরামর্শ দিতে দেখা গিয়েছে। বছর খানেক আগে মাধ্যমিক পরীক্ষার কৃতিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রেখেছিলেন মমতা। সে দিন বলেছিলেন, ‘‘সবসময় মনে রাখা দরকার হাসিখুশি থাকতে হবে। দুঃখ আসবে, দুঃখটাকে জয় করতে হবে। তুমি সারা জীবন রোদে ঘুরবে, বর্ষায় ভিজবে, শরীরকে কষ্ট দিলে শরীর বেগ দেবে না? তবে জীবনে কখনও হতাশ হতে নেই। পজিটিভিটি, এটা ব্রেনের প্লাস পয়েন্ট। আমাদের ব্রেনে কত অজস্র নার্ভ আছে আমরা জানি না। আজও কত সেল আছে আমরা জানি না। আমরা যখন চিৎকার করি, রাগারাগি করি তখন আমাদের কত সেল নষ্ট হয়ে যায়। সে জন্য রাগারাগি করে নয়, শান্তিপূর্ণ ভাবে কাজটা করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy