প্রতীকী ছবি।
কোভিড-স্ফীতির এই পর্যায়ে সংক্রমণের হার যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে কোভিড আক্রান্তরা হয় উপসর্গহীন কিংবা মৃদু উপসর্গযুক্ত। জ্বর হয়তো দু’দিনে ঠিক হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কাশি-ঠান্ডা লাগা-গলা ব্যথা থেকে যাচ্ছে। এতে খাওয়াদাওয়ার ইচ্ছে কমে যাচ্ছে। ঢোক গিলতে অসুবিধা হচ্ছে বলে অনেকেই তরল জাতীয় খাবার বেশি খাচ্ছেন। কিন্তু গা গুলিয়ে বমি হয়ে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ছে। অথচ শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি না গেলে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠার পথটা আরও দীর্ঘ হয়ে যাবে। তাই জেনে নিন এই পরিস্থিতি কী করে সামলাবেন।
১। বমির প্রবণতা আটকাতে আদা শ্রেষ্ট ঘরোয়া টোটকা। অল্প করে কেটে ছোট ছোট আদার টুকরো মুখে দিতে পারেন। খুব ধীরে ধীরে চিবিয়ে আদার রস গিলুন। এই ভাবে খেলে বমির প্রবণতা অনেকটা কমে। গলায়ও আরাম পাবেন। আদা চা খেতে পারেন। অনেক ধরনের আদার লজেন্সও পাওয়া যায়। সেগুলি মুখে খুশখুসে কাশিও কমবে।
২। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে বা সালফার রয়েছে এমন খাবার এই সময় না খাওয়াই ভাল। বমির প্রবণতা কমে গেলে ফের খেতে পারেন। ঢোক গিলতেও অসুবিধা হলে আরও এ়ড়িয়ে চলুন।
৩। ঝাল-মশলাওয়ালা ছাড়া খাবার খান। যার স্বাদ খুব একটা কড়া নয়। কলা, দই ভাত, আপেল সেদ্ধর মতো খাবার খেতে পারেন।
৪। কখনওই একবারে অনেক খাবার খেতে যাবেন না। বারে বারে অল্প পরিমাণে খান।
৫। বমি পেলে লেবু অত্যন্ত কার্যকর। লেমন অয়েল শুকলেও বমির প্রবণতা কমে যায়। তা ছাড়া লেবুর রস তো রয়েছেই। মাঝেমাঝেই লেবুর রস মুখে দিন। বমি-ভাবের অস্বস্তি থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন।
৬। গলা ব্যথা কমাতে বারে বারে নানা রকম ভেষজ চা খেতে পারেন। তুলসী-চা মধু দিয়ে এ ক্ষেত্রে দারুণ উপকারী।
৭। পিপারমেন্ট অয়েল যদি বাড়িতে থাকে তা হলে সঙ্গে নিয়ে বসুন। বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে পিপারমেন্ট অয়েল শুকলে বমির প্রবণতা অনেকটা কমে যায়। পিপারমেন্ট-টি বানিয়েও খেতে পারেন।
৮। খাওয়ার জল সামান্য ঈষদুষ্ণ খেতে পারেন। এতে গলায় যেমন আরাম হবে, তেমনই হজমক্ষমতা বাড়বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy