বিমানে বসে মদ্যপানে হতে পারে বিপদ! বলছে গবেষণা ছবি: সংগৃহীত।
যাত্রী পরিষেবার অঙ্গ হিসাবে বহু বিমান সংস্থাই উড়ানে অ্যালকোহল পরিবেশন করে থাকে। পছন্দের পানীয় পেয়ে অনেক যাত্রী তা উপভোগ করেন। করে ফেলেন অতিরিক্ত মদ্যপান। কিন্তু জানেন কি, মাঝ আকাশে মদ্যপান, তা-ও যদি হয় অতিরিক্ত, ঘটাতে পারে বড় বিপদ?
‘থোরাক্স’ নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার ফল বলছে, উড়ানে বসে মদ্যপান ও তার পর ঘুম হার্টের পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে দীর্ঘ বিমানযাত্রার ক্ষেত্রে। আচমকা শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে ও হৃদ্যন্ত্রের গতি বেড়ে গিয়ে ঘটতে পারে বিপদ। এমনকি কমবয়সিদের ক্ষেত্রেও তা নিরাপদ নয়।
সমস্যা কোথায়?
বেশি উচ্চতায় বাতাসের চাপ ও অক্সিজেনের মাত্রা কম থাকে। বিমান অনেক উঁচু দিয়েই ওড়ে। উচ্চতাজনিত কারণে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার প্রভাব পড়তে পারে শরীরে। ফুসফুস ও শরীরে অক্সিজেন কম পৌঁছনোর ফলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এমনিতেই বেশি উচ্চতায় অনেকেরই বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়। তার মধ্যে থাকে মাথা ধরা, কানের পাশে ব্যথা হওয়া, নাক দিয়ে জল পড়া, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বুকে চাপ লাগার মতো উপসর্গ। কারও ক্ষেত্রে উচ্চতাজনিত কারণে অক্সিজেনের মাত্রা কমার প্রভাব আরও সাংঘাতিক হতে পারে। হার্টে, ফুসফুসে ও মস্তিষ্কে এর গুরুতর প্রভাব পড়তে পারে।
মদ্যপানের সঙ্গে সম্পর্ক কী ভাবে?
অ্যালকোহল রক্তবাহগুলিকে শিথিল করে দেয়। মদ্যপানের পর হৃদ্যন্ত্রের গতি বেড়ে যায়। বাড়তি অক্সিজেনের দরকার হয়। মদ্যপানের পর কেউ ঘুমিয়ে পড়লে অক্সিজেনের অভাব বা কোনও কষ্ট হয়তো সেই মুহূর্তে তিনি বুঝতেও পারবেন না। এ ক্ষেত্রে উচ্চতাজনিত কারণে বিমানে শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
গবেষণা কী বলছে?
‘থোরাক্স’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রটি জানাচ্ছে, ৪৮ জনকে নিয়ে এই বিষয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়। ২৪ জন করে দু’টি দল তৈরি করা হয়। প্রত্যেককে মদ্যপানের পর ঘুমিয়ে পড়তে বলা হয়। ২৪ জনকে রাখা হয় সাধারণ জায়গায়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ৪৩৮ মিটার উচ্চতায় বাতাসের যে চাপ ও অক্সিজেনের মাত্রা থাকে, সেই পরিবেশ তৈরি করে অন্য ২৪ জনকে ঘুমোতে দেওয়া হয়। ফলাফলে দেখা যায়, বেশি উচ্চতার পরিবেশে যাঁদের রাখা হয়েছিল তাঁদের শরীরে তা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। হৃদ্যন্ত্রে চাপ পড়ছে। এমনকি, কমবয়সিদের ক্ষেত্রেও তা ঘটছে।
সমীক্ষালব্ধ ফল থেকেই পরামর্শ, বিমানে বসে অতিরিক্ত মদ্যপান কখনও কারও কারও ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তাই মদ্যপান করলেও, তার পরিমাণ সীমিত হওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy