ফিটনেস প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়েই শরীরচর্চা করুন। ছবি: সংগৃহীত।
ঝট করে ওজন কমাবেন বলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ট্রেডমিলে দৌড়ন? কমবয়সি হোক বা পঞ্চাশোর্ধ্ব, ট্রেডমিল করুন, ওয়েট ট্রেনিং বা কার্ডিয়ো যাই-ই করুন না কেন, ফিটনেস প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়েই করা উচিত।
সাম্প্রতিক সময়ে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ট্রেডমিল করতে করতেই হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে কোনও কোনও মানুষের। চিকিৎসকেরা বলছেন, আপনি রোজ নিয়ম করে জিম করছেন মানে এই নয় যে, আপনার শরীর খুব ভাল আছে। আপনার হার্ট দুর্বল কিনা, তা হয়তো আপনি নিজেই জানেন না। এর মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রেডমিলে গতি বাড়িয়ে ছুটলে বা হাঁটলে হিতে বিপরীত হতে বাধ্য।
নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করুন, মেদ ঝরুক ধীরে ধীরেই
১. প্রথমেই রক্তচাপ, হার্টের অবস্থা ও রক্তে শর্করার মাত্রা জেনে নিয়ে তবেই ওজন কমানোর জন্যে শরীরচর্চা শুরু করুন।
২. ট্রেডমিলে হাঁটতে বা ছুটতে গিয়ে বুক ধড়ফড় করলে বা শ্বাস নিতে কষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ক্ষেত্রে ‘ট্রেডমিল টেস্ট’ করিয়ে নিলে ভাল হয়।
৩. খাওয়াদাওয়ার দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে ভাবেন, নিয়মিত শরীরচর্চা করলে, যা ইচ্ছে খাবার খাওয়া যায়। কিন্তু বেশি তেল জাতীয় বা মশলাদার খাবার বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে শরীরে ক্ষতি হতে পারে। কী ধরনের ডায়েট আপনার জন্য ভাল, তা পুষ্টিবিদের থেকে জেনে নেওয়া দরকার। কোনও ‘ফুড সাপ্লিমেন্ট’ নেওয়ার আগেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. ৪০ বছর বয়সের পরে জিমে যাওয়া শুরু করলে আগে ‘লিপিড প্রোফাইল টেস্ট’ করান। মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খান। একটা ইসিজি করিয়ে নিতেও পরামর্শ দিতে পারেন চিকিৎসক। তাতে হার্টের সমস্যা থাকলে ধরা পড়ে যেতে পারে। এই বিষয়গুলি করে চিকিৎসক যা বলবেন, সেই অনুযায়ী ট্রেডমিল করবেন অথবা করবেন না।
৫. জিমের প্রশিক্ষককে নিজের শারীরিক অবস্থা, অসুখবিসুখ, কী কী ওষুধ খান, তা সবিস্তারে জানান। আপনার শরীর বুঝেই তিনি ব্যায়াম দেবেন।
৬. শুধু শরীরচর্চা করে গেলেই হবে না। প্রত্যেক বছর এক বার অন্তত সব রকম মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। শরীরে কোথাও কোনও রকম সমস্যা আছে কি না, তা দেখে নেওয়া প্রয়োজন। কারও কোনও ধমনীতে ‘ব্লকেজ’ রয়েছে কি না, রক্ত জমাটের আশঙ্কা রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা না করলে জানা সম্ভব নয়। এমন থাকলে বলা বাহুল্য ট্রেডমিল করা ঠিক নয়।
৭) শুরুতেই দীর্ঘক্ষণ ব্যায়াম করা ঠিক নয়। ধীরে ধীরে ব্যায়ামের সময় বাড়াতে হবে। শরীরকে সময় দিতে হবে মানিয়ে নেওয়ার।সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুম ও পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy