দারচিনি ডায়াবিটিসের ওষুধ। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়াবিটিস এখন বয়স মানে না। যেকোনও বয়সেই রক্তে বাড়তে পারে শর্করা। এই ডায়াবিটিসের হাত ধরে শরীরে বাসা বাঁধে হাজার রোগ। সাধারণত ডায়াবিটিস দানা বাঁধলে প্রথম অবস্থাতেই টের পাওয়া যায় না। রক্ত পরীক্ষা করিয়ে তা বুঝে নিতে অনেকটা সময় পেরিয়ে যায়। যে কোনও ক্রনিক অসুখের ক্ষেত্রে যত আগে অসুখের উপস্থিতি টের পাবেন, ততই ভাল। ডায়াবিটিসও তার ব্যতিক্রম নয়। জীবনের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে ডায়াবিটিস, এটা জানার পর থেকেই নিজেকে নিয়মে বেঁধে ফেলা জরুরি। খাওয়াদাওয়া থেকে জীবনযাপন, সব কিছুই নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রয়োজন। আর মিষ্টির সঙ্গে বিচ্ছেদ জরুরি। চিনি বাদ দিতে হবে জীবন থেকে। কিন্তু দারচিনি সুস্থ থাকার দাওয়াই হতে পারে। ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে দারচিনি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই মশলায় ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, কোলাইন ও লাইকোপেনের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ভরপুর মাত্রায় থাকে। কোন কোন উপায়ে দারচিনি খেতে পারেন ডায়াবেটিকরা?
১) সারা রাত এক গ্লাস জলে একটি বড় টুকরো দারচিনি ভিজিয়ে রেখে দিন। পরদিন সকালে উঠে খালি পেটে দারচিনি ভেজোনো জল খান।
২) দারচিনি দিয়ে চা বানিয়েও খেতে পারেন। দারচিনির মধ্যে মিষ্টি ভাব রয়েছে। এই চা খেতে মন্দ লাগে না।
৩) অনেকেই সকালের জলখাবারে ওট্স খান। দুধে ওট্স মিশিয়ে খাওয়ার সময়ে এক চিমটে দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। স্বাদ বাড়বে আর স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।
দারচিনির অন্য গুণাগুণ
শুধুমাত্র ডায়াবিটিসের সমস্যাই নয়, পেটের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রেও দারচিনি গুরুত্বপূর্ণ। ডায়েরিয়ার মোকাবিলা করার জন্যও দারচিনি ব্যবহার করা যেতে পারে। আয়ুর্বেদে, দারচিনির ছাল অনেক সময়ে দাঁতের যন্ত্রণায় বা গাঁটের ব্যথার ক্ষেত্রে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া, সর্দি-কাশি হলেও দারচিনি খেলে উপশম মেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy