সত্যিই কি ব্যথা-বেদনা কমাতে কাজে আসে গঞ্জিকা? ছবি: প্রতীকী
গোটা বিশ্ব জুড়েই অনেকে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা-বেদনা কমাতে ক্যানাবিনয়েড-সমৃদ্ধ বিশেষ ধরনের পথ্য সেবনের দিকে ঝুঁকছেন। এই ক্যানাবিনয়েড গাঁজার একটি মুখ্য উপাদান। গবেষণাও কম হচ্ছে না এই বিষয়ে। সত্যিই কি ব্যথা-বেদনা কমাতে কাজে আসে গঞ্জিকা? সম্প্রতি এই বিষয়ে হওয়া ২০টি গবেষণার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখলেন ইজ়রায়েলের কয়েকজন গবেষক। নতুন এই গবেষণায় উঠে আসা তথ্য প্রকাশিত হয়েছে জেএএমএ ও হার্ভার্ড হেলথে।
এই গবেষণায় বহুল ব্যবহৃত ক্যানাবিনয়েডের কার্যকারিতার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই তালিকায় আছে ডেল্টা-৯-টেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল বা ক্যানাবিডিওল এবং প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে দেওয়া ওষুধ নেবিলোন (সিসামেট), ড্রোনাবিনল (মেরিনল, সিন্ড্রোস) এবং নাবিক্সিমোলস (সেটিভেক্স)। পথ্যগুলি হয় মুখ্য ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে, নয়তো প্লাসিবো হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ওষুধ কাজ না করলে ওষুধের মতো পথ্য দিয়ে রোগীকে ভুলিয়ে রাখার পদ্ধতিকে বলে প্লাসিবো। গবেষণাটি বলছে, সক্রিয় চিকিৎসা এবং প্লাসিবো, উভয় ক্ষেত্রেই ব্যথা উপশমের মাত্রা কার্যত একই।
গবেষকরা বলছেন, মস্তিষ্কে স্নায়ুসংবেদ পরিবহণকারী যে পদার্থ থাকে তাকে নিউরোট্রান্সমিটার বলে। এন্ডোক্যানাবিনয়েড এমনই একটি নিউরোট্রান্সমিটার। এই উপাদানটির গঠন গঞ্জিকার ক্যানাবিনয়েড-এর মতোই। তাই এই উপাদানটি শরীরে গেলে মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশ সাময়িক ভাবে উদ্দীপিত হয়। ফলে মনে হয় যেন ব্যথা কমে আসছে কিংবা ওষুধ ভাল কাজ করছে। আদৌ অতিরিক্ত কোনও উপকার মেলে না। কিন্তু গবেষকরা এ-ও বলছেন, দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা ওষুধের মাধ্যমে কমানো বেশ কঠিন, তাই কেউ যদি সাময়িক আরাম পান, তাকে আটকানো ঠিক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy