Advertisement
E-Paper

পাওনাদারের ঋণ এড়াতে মৃত্যুর নাটক, মরদেহ সেজে ফেসবুকে ছবি মহিলার, তবু হল না শেষরক্ষা

ঋণশোধের তারিখ চলে আসায় প্রতারণার আশ্রয় নিলেন ইন্দোনেশিয়ার এক মহিলা। ফেসবুকে প্রচার করলেন নিজের মৃত্যুর খবর। খবর বিশ্বাসযোগ্য করতে মৃতদেহের বেশে বেশ কিছু ছবিও পোস্ট করেন তিনি।

পাওনাদারের থেকে বাঁচতে মৃত্যুর নাটক করার অভিযোগ উঠল ইন্দোনেশিয়ার এক মহিলার বিরুদ্ধে।

পাওনাদারের থেকে বাঁচতে মৃত্যুর নাটক করার অভিযোগ উঠল ইন্দোনেশিয়ার এক মহিলার বিরুদ্ধে। ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩:৫২
Share
Save

ধার শোধ করার সময় এসে গিয়েছে, তাই পাওনাদারের হাত থেকে বাঁচতে নিজের মৃত্যুর ভুয়ো খবর প্রচার করার অভিযোগ উঠল ইন্দোনেশিয়ার এক মহিলার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নিজের মৃত্যুর খবর যাতে বিশ্বাসযোগ্য হয়, তার জন্য মৃতদেহের বেশে বেশ কিছু ছবিও তোলেন তিনি। তার পর সেই ছবিগুলি পোস্ট করেন সমাজমাধ্যমে। গোটা বিষয়টি জানাজানি হতেই গা-ঢাকা দিয়েছেন তিনি, অভিযোগ পাওনাদারের।

ইন্দোনেশিয়ার এক সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, এল নামের ওই মহিলার থেকে বেশ কিছু টাকা পেতেন মায়া গুনাওয়ান নামের অপর এক মহিলা। নভেম্বর মাসের ২০ তারিখে সেই টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল এলের। তিনি মায়াকে অনুরোধ করেন ডিসেম্বরের ৬ তারিখ পর্যন্ত সময় দেওয়ার। কিন্তু ডিসেম্বরের ১২ তারিখ তাগাদা দেওয়ার জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন মায়া। তখনই ফেসবুকে এলের মেয়ের করা একটি পোস্ট দেখে চমকে ওঠেন তিনি। ওই পোস্টে জানানো হয়, একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন এল। উত্তর সুমাত্রার মেডান নামের একটি সেতুতে পথ দুর্ঘটনাটি হয় বলেও দাবি করা হয় ওই পোস্টে। সঙ্গে নাকে তুলো দেওয়া অবস্থায় এলের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া হাসপাতালে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার কিছু ছবিও দেওয়া হয়। ওই পোস্টে এও দাবি করা হয়, ইতিমধ্যেই সমাধিস্থ করা হয়েছে এলকে।

বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে ওই ছবি তোলেন তাঁর মা, দাবি অভিযুক্ত মহিলার মেয়ের।

বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে ওই ছবি তোলেন তাঁর মা, দাবি অভিযুক্ত মহিলার মেয়ের। ছবি: প্রতীকী

পোস্টের কিছু পরে জানা যায়, হাসপাতালে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল সেগুলি একটি টিভি ধারাবাহিকের ছবি। এর পর এলের মেয়ে দাবি করেন, তাঁর মা আদৌ মারা যাননি। গোটাটাই নাটক। তিনি এও দাবি করেন, বিষয়টিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে ওই ছবি তোলেন তাঁর মা। তার পর তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে পোস্ট করেন ছবিগুলি। গোটা ঘটনায় কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন মায়া নিজেই। টাকা ফেরত চেয়ে এলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও এলের কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না বলে দাবি তাঁর।

Bizarre Indonesia Fraud

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।