আইসক্রিম খেতে কে না পছন্দ করেন? শুধু মনঃকষ্ট বললে ভুল হবে। আনন্দের খবর পেয়ে মিষ্টিমুখ করতে হলেও তো আইসক্রিম খান অনেকে। বাড়ির চারপেয়ে পোষ্যটিও গরমে কাহিল হয়ে পড়লে ফ্রিজ়ারের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে। ওই একটু ঠান্ডা আইসক্রিম খাওয়ার আশায়। ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয়ে অনেক সময়ে বাড়ির খুদের হাত থেকে আইসক্রিম ভর্তি বাটি কেড়ে নেন অভিভাবকেরা। কিন্তু সেই আইসক্রিম যে তলে তলে বাড়ির বড়দের হার্টেরও ক্ষতি করতে পারে, সে খবর রাখেন?
আরও পড়ুন:
চিকিৎসকেরা বলছেন, অতিরিক্ত আইসক্রিম খেলেই মোটা হবেন। তার সঙ্গে সঙ্গে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়বে। কারণ, আইসক্রিমে স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। এ ছাড়া কৃত্রিম শর্করা তো আছেই। মূলত এই দু’টি জিনিসের জন্য কার্ডিয়োভাসকুলার রোগ, স্থূলত্ব, টাইপ ২ ডায়াবিটিসের মতো রোগ জাঁকিয়ে বসতে পারে।
স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি খেলে রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে তা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকলে হার্টের ধমনী পুরু হতে শুরু করে। ফলে রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। হার্টে পর্যাপ্ত রক্ত না পৌঁছলে হার্ট অ্যাটাক হতেই পারে। আর অতিরিক্ত শর্করা যে ডায়াবেটিকদের জন্য ক্ষতিকর তা তো সকলেই জানেন। কিন্তু যাঁদের সেই সমস্যা নেই, তাঁদের রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় রয়েছে।
আরও পড়ুন:
সাধের আইসক্রিমও কি খাবারের তালিকা থেকে বাদ পড়ল?
এখন তো বাজারে নানা ধরনের আইসক্রিম পাওয়া যায়। কোনওটিতে মিষ্টি কম, কোনওটি ‘আবার ফ্যাট-ফ্রি’। চাইলে তেমন আইসক্রিম খেতে পারেন। তবে আইসক্রিম রোজ না খাওয়াই ভাল। একেবারে লোভ সংবরণ করতে না পারলে মাসে দু’বার আইসক্রিম খাওয়া যেতে পারে।