দারচিনি এবং গোলমরিচের গুণে ডায়াবিটিস বশে থাকবে? ছবি: সংগৃহীত।
ভেষজ হিসাবে গোলমরিচ এবং দারচিনি, দু’টি মশলার আলাদা আলাদা গুণ রয়েছে। কিন্তু আয়ুর্বেদ বলছে, এই দু’টি মশলা একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে তা বিশেষ ফলপ্রদ হতে পারে।
এমনিতে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনেক কিছুই করেন। শরীরচর্চা, ডায়েটের পাশাপাশি দারচিনি এবং গোলমরিচ দিয়ে যদি চা বানিয়ে খাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে ফল মিলবে দ্রুত। শুধু তা-ই নয়, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং বিপাকহার উন্নত করতেও এই দাওয়াই বেশ কাজের।
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে দারচিনি কী ভাবে সাহায্য করে?
দারচিনির মধ্যে রয়েছে ‘সিনামলডিহাইড’ এবং ‘সিনামিক অ্যাসিড’। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই দু’টি উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। দেহকোষের ইনসুলিন হরমোন গ্রহণের ব্যাপারে সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করে দারচিনি। রক্তে ভাসমান গ্লুকোজ় শোষণ করতেও সাহায্য করে। এই মশলা রাতবিরেতে মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতাকেও আটকে দিতে পারে।
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে গোলমরিচের ভূমিকা কী?
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গোলমরিচের ভূমিকাও কম নয়। এই মশলায় রয়েছে ‘প্যাপেরিন’। যা আসলে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণে সমৃদ্ধ। গবেষণা বলছে, রক্তে শর্করার উপর গোলমরিচের সরাসরি কোনও ভূমিকা নেই। কিন্তু বিপাকহারের উপর গোলমরিচের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। যা ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
চা বানানোর ঠিক কোন সময়ে গোলমরিচ এবং দারচিনি দিতে হবে?
পাত্রে যখন চায়ের জল ফুটবে তখনই কয়েক দানা গোলমরিচ এবং দারচিনির টুকরো দিয়ে দিন। পাত্রের মুখে ঢাকা দিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করুন। ঢাকা তুললে দেখবেন, জলের রং বদলে গিয়েছে। তার পর চায়ের পাতা মেশান। এ ক্ষেত্রে ভেষজ বা গ্রিন টি ব্যবহার করাই ভাল। তার পর চা ছেঁকে নিয়ে কাপে ঢেলে নিলেই হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy