শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেলে মাথাধরা বা মাথাব্যথার মতো উপসর্গ হওয়া স্বাভাবিক। ছবি- সংগৃহীত
বাইরে বেজায় রোদ। সামান্য বাজার করতে গিয়েই একেবারে গলদঘর্ম অবস্থা। কেমন যেন মাথাটাও ধরে রয়েছে। ফিরে এসে পাখার তলায় বসলেন ঠিকই। কিন্তু তাতেও সমস্যার সুরাহা হচ্ছে না। জল খেয়ে তেষ্টা মিটলেও মাথাব্যথা সেই আগের মতোই রয়ে গিয়েছে। তা হলে কি সকাল সকাল মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দিল? পুষ্টিবিদরা বলছেন, গরমে অতিরিক্ত ঘাম হলে শরীর থেকে জলের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন খনিজ, নুনও বেরিয়ে যায়। যার ফলে ডিহাইড্রেশন হতে পারে।
শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেলে মাথাধরা বা মাথাব্যথার মতো উপসর্গ হওয়া স্বাভাবিক। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গেলে শুধু জলই যথেষ্ট নয়। তরমুজের রস এই সমস্যায় দারুণ কাজ দেয়। তরমুজে থাকা বিশেষ এক প্রকার অ্যামিনো অ্যাসিড ‘সিট্রুলিন’ দেহে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। রক্তবাহিকাগুলিকে আরাম দেয়। গরমে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া খনিজগুলির মাত্রা আবার আগের জায়গায় ফিরে আসে। মাথাব্যথা বা মাথাধরার ক্ষেত্রে এই তরমুজের রস তাই বিশেষ ভাবে কার্যকর। শুধু তা-ই নয়, তরমুজের রসে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে।
তরমুজে রসে জলের ভাগ শতকরা ৯০ ভাগ। এ ছাড়াও এই ফলে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন এ, সি, বি৬। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তরমুজে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, লাইকোপেন, দেহের কোষগুলিকে অক্সিডেটিভ ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করে। যা হার্টের স্বাস্থ্য এবং ডায়াবিটিসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই প্রতি দিন অল্প পরিমাণ তরমুজ ফল বা স্যালাড হিসাবে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy