চুল পড়ে যাওয়া, ত্বকের সমস্যা, ব্রণ ইত্যাদির কারণও হতে পারে শরীরে হরমোনের সমতার অভাব। ছবি- সংগৃহীত
হরমোন আসলে এক ধরনের জৈব-রাসায়নিক পদার্থ। বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হরমোনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে, দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ধরনের রোগ। কিন্তু অনেক সময় হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলেও সাধারণ মানুষ তা বুঝে উঠতে পারে না। আচমকাই ওজন বৃদ্ধি, কিংবা ঘন ঘন মেজাজ বিগড়ে যাওয়া, ক্লান্তি ভাব কিন্তু হরমোনের তারতম্যের লক্ষণ হতে পারে। চুল পড়ে যাওয়া, ত্বকের সমস্যা, ব্রণ ইত্যাদির কারণও হতে পারে শরীরে হরমোনের সমতার অভাব। তবে সকালের কিছু অভ্যাসেই হরমোনের মাত্রা আবার আগের জায়াগায় ফিরে আসতে পারে।
১) অয়েল পুলিং
শরীরের ভিতরে সমস্ত দূষিত পদার্থ টেনে বার করে এই অয়েল পুলিং পদ্ধতি। সঙ্গে অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। পুষ্টিবিদদের মতে, অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে বিপাকহার উন্নত হয়। যার প্রভাব পড়ে হরমোনের উপর।
২) রোদ মেখে দিন শুরু
ঘুম থেকে ওঠার সময়ে শরীরে কর্টিজ়ল হরমোনের মাত্রা বেশি থাকে। এই হরমোনের ভারসাম্য রাখতে গেলে ঘুম থেকে উঠেই ফোন নয়, ১০ থেকে ১৫ মিনিট গায়ে রোদ লাগান।
৩) শরীরচর্চা
ঘুম থেকে উঠে খুব ভারি কিছু না হলেও হালকা স্ট্রেচ, ব্যায়াম বা হাঁটাহাটি করলে শরীরে সমস্ত কল-কব্জা আবার স্বাভাবিক ছন্দে কাজ করতে শুরু করে। হজম, বিপাকহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিও সহজ হয়। তার প্রভাবে হরমোনের ভারসাম্যও বজায় থাকে।
৪) চা, কফি বাদ
ঘুম থেকে উঠেই চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে? এই অভ্যাস শুধু যে পেটের ক্ষতি করছে, তা নয়। হরমোনের হেরফেরের জন্যও দায়ী এই পানীয় দুটি।
৫) ঘুম থেকে ওঠার ৯০ মিনিট পর প্রাতরাশ
ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়েই সোজা চলে যান হেঁশেলে। সকালের জলখাবার পেটে না পড়লে খবরের কাগজের পাতাটাও উল্টে দেখতে ইচ্ছে করে না। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরকে ধাতস্থ না করে কোনও শক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়। অন্তত পক্ষে ৯০ মিনিট পর থেকে খাবার খাওয়া শুরু করা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy