Advertisement
E-Paper

‘ওয়াটার ওয়েট’ কী? বেশি জল খেলে দেহের ওজন বেড়ে যেতে পারে?

হাতে বাঁধা ‘স্মার্ট’ ঘড়ি প্রতিনিয়ত জানান দিচ্ছে কতটা ক্যালোরি পুড়ছে। ডায়েটও করছেন। তা সত্ত্বেও ওজন মাপার যন্ত্রে তা ধরা পড়ছে না।

Water Retention

শরীরে জল জমছে কোথা থেকে? ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৫ ০৯:০২
Share
Save

জলের এক নাম যদি জীবন হয়, তা হলে অন্য নামটি কী? নির্ঘাত ‘মরণ’! কেন?

কারণ, এত দিন ধরে জেনে এসেছেন, দেহের ওজন বাড়ে মেদের জন্য। এখন আবার তার সঙ্গে আবার যোগ হয়েছে জলও। ক্যালোরি পুড়িয়ে না হয় মেদ গলিয়ে ফেললেন। কিন্তু মরণপণ চেষ্টা করেও শরীর থেকে জলের বাড়তি ওজন কমাতে পারছেন না। তা হলে কি জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দেবেন? এ দিকে সুস্থ থাকতে গেলে তো সারা দিনে অন্ততপক্ষে ৭-৮ গ্লাস জল খেতেই হয়। শরীরে জলের ঘাটতি হলে শারীরবৃত্তীয় কাজকর্মও থমকে যেতে পারে।

কিন্তু দেহের ভিতর বাড়তি এই জলের উৎস কী? চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীরে জমা জলের সঙ্গে জল খাওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস কিংবা শারীরিক সমস্যার কারণে শরীরের নানা প্রকোষ্ঠে, অস্থিসন্ধিতে জল জমতে শুরু করে। টিস্যুও বেশ অনেকটা পরিমাণ জল ধরে রাখতে পারে। মেদ তো রয়েছেই, সঙ্গে এই জলের কারণেও দেহের ওজন অনেকটা বেড়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘ওয়াটার রিটেনশন’ বলা হয়। কিছু ক্ষেত্রে মেদ ঝরানো সহজ হলেও জলের ওজন কিন্তু সহজে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না।

কী কারণে ‘ওয়াটার রিটেশন’ হয়?

১) খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকলে বা প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খেলে ‘ওয়াটার রিটেনশন’ বা জলের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এই কারণে ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা বিঘ্নিত হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

২) এই ধরনের সমস্যা মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। বিশেষত ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে বা পরে। কারণ, প্রতি মাসে ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার আগে এবং পরে প্রজননে সহায়ক হরমোনগুলির মাত্রা ওঠানামা করে। যে কারণে শরীরে ফ্লুইডের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

৩) আবার এমন কিছু রোগ রয়েছে, যেগুলি শরীরে জলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। লিভার, কিডনি বা হার্টের নির্দিষ্ট বেশ কিছু সমস্যায় শরীরে জলের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে।

জল কম খেলে চলবে না, তা হলে ‘ওয়াটার ওয়েট’ নিয়ন্ত্রণ করবেন কী ভাবে?

১) খাবারে নুনের পরিমাণ কমাতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাভুজি, প্যাকেটবন্দি বা কৌটোবন্দি খাবার, তৎক্ষণাৎ বানিয়ে ফেলা যায়, এমন খাবারও ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে।

২) পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। জল কম খেয়ে শরীরে জমা ‘জল’-এর পরিমাণ কমানো যাবে না। উল্টে বেশি করে জল খেলে শরীরে জমা ‘টক্সিন’ সহজে বেরিয়ে যাবে।

৩) শরীরচর্চা করতে হবে। নিয়মিত শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করলে ‘ওয়াটার রিটেনশন’-এর সম্ভাবনা কমে।

৪) ডায়েটে সোডিয়ামের বদলে পটাশিয়াম-সমৃদ্ধ খাবার রাখা যেতে পারে। পটাশিয়াম কিন্তু শরীরে জমা ফ্লুইডের পরিমাণ হ্রাস করতে সাহায্য করে।

৫) কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে মেপে। কারণ, অতিরিক্ত কার্ব কিন্তু দেহের পেশি এবং লিভারে গ্লাইকোজেন রূপে জমা হতে থাকে। এই উপাদানটির কিন্তু জল ধরে রাখার ক্ষমতা আছে। ফলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।

Body water Retention Weight Gain Weight Loss

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}