ভিটামিন সি ভরপুর মাত্রায় থাকার কারণে আমলকি শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত
রোজ সকালে খালি পেটে এক টুকরো আমলকি। শতাব্দীপ্রাচীন এই আয়ুর্বেদিক টোটকার গুণ অনেক! সর্দি-কাশি তো দূরে থাকেই, এমনকি, ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের হাত থেকেও শরীরকে রক্ষা করে আমলকি। ভিটামিন সি ভরপুর মাত্রায় থাকার কারণে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। তা ছাড়া হজমশক্তি বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
কিন্তু বেশি মাত্রায় আমলকি খেলে হতে পারে হিতের বিপরীত। কাদের জন্য আমলকি খাওয়া একেবারেই ভাল নয়, জানেন?
১) শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় ভিটামিন সি-র উপস্থিতি বদহজমের সম্ভাবনা বাড়ায়। যাঁদের অম্বলের সমস্যা খুব বেশি, নিয়মিত আমলকি খেলে তাঁদের সেই সমস্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকে।
২) আমলকিতে আছে অ্যান্টিপ্লেটলেট শক্তি। এর প্রভাবে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা কমে। ফলে হৃদ্রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যের জন্য আমলকি বেশ উপকারী। কিন্তু অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়া, লিউকিমিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের রক্ত পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগতে হয়, তাঁদের পক্ষে আমলকি না খাওয়াই ভাল। সে ক্ষেত্রে রক্ত আরও পাতলা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সাধারণ কাটাছেঁড়ার পরেও রক্তপাত বন্ধ হতে সমস্যা হতে পারে।
৩) কোনও অস্ত্রোপচার হওয়ার আগে আমলকি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়াই শ্রেয়। কারণ সেই একই। রক্তপাত বন্ধ না হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়। অস্ত্রোপচারের পর রক্তপাত বন্ধ না হলে টিস্যু হাইপক্সেমিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
৪) আমলকি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। তাই যাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ কম, তাঁদের আমলকি খাওয়া উচিত নয়।
৫) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অনেকেই মুঠো মুঠো খেয়ে থাকেন। এতেও কিন্তু সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত আমলকি খেলে বমি, ডায়ারিয়া, পেটের গন্ডগোল হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এমন পরিস্থিতি তৈরি না হওয়াই ভাল। এ ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy