কাঠবাদাম এবং আখরোট, দু’টিই শরীরের জন্য উপকারী। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দু’ধরনের বাদামই খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। যদিও হাড়ের জন্য কাঠবাদাম বেশি কাজের। কারণ, এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ভিটামিন ডি, যেগুলি হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। আবার, আখরোটে রয়েছে ভিটামিন বি৬, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ম্যাঙ্গানিজ়ের মতো খনিজ, যেগুলি মস্তিষ্কের স্নায়ুর জন্য ভাল। তাই স্মৃতিশক্তি বাড়িয়ে তোলাই যদি লক্ষ্য হয়, তা হলে শিশু বা বয়স্কদের আখরোট খাওয়ার উপর বিশেষ ভাবে জোর দিতে হবে।
পুষ্টিবিদ, নেটপ্রভাবী সেজল অহুজার মতে বুদ্ধিতে শান দেওয়ার জন্য দু’ধরনের বাদামই ভাল। তবে পুষ্টিগুণ বিচার করলে কাঠবাদামের চেয়ে আখরোটকে একটু বেশি এগিয়ে রাখতে হবে। কারণ, কাঠবাদামের দ্বিগুণ পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে আখরোটে। এই উপাদানটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
এ ছাড়া আর কী কী আছে আখরোটে?
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের উৎস হল আখরোট। শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখে এই উপাদানটি। ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। মস্তিষ্কের বার্ধক্যজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এ ছাড়া আখরোটে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে, যা স্নায়ুতন্ত্রের কাজকর্ম সঠিক ভাবে সম্পাদন করতেও সাহায্য করে।
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ভুলে যাওয়া বা স্মৃতি লোপ পাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। তা ডিমেনশিয়া, অ্যালঝাইমার্স বা পার্কিন্সন্সের আকার নেওয়ার আগেই রুখে দেওয়া যেতে পারে, যদি নিয়মিত আখরোট খাওয়ার অভ্যাস থাকে। আবার, কাঠবাদামে রয়েছে রাইবোফ্লোভিন এবং এল-কারনাইটিনের মতো উপাদান। এগুলি মস্তিষ্কের স্নায়ুর কার্যক্ষমতা উন্নত করতে সহায়তা করে।