ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্বের খুব কম পদ রয়েছে, যাতে নুন ব্যবহার না করলেও চলে। তবে প্রতি দিনের সাধারণ সব পদেই নুন দিতে হয়। এই উপকরণটি যে শুধু স্বাদের জন্য রান্নাতে দেওয়া হয়, তা নয়। এর মধ্যে নানা ধরনের খনিজ রয়েছে। শরীরে তরলের সমতা বজায় রাখতে এবং জলের ঘাটতি পূরণ করতেও সাহায্য করে। পেশির কার্যক্ষমতার অনেকটাই নির্ভর করে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রার উপর। এই দু’টি উপাদানই নুনের মধ্যে থাকে। তবে সমস্যাও রয়েছে। বেশি নুন খেলে কিন্তু রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। কিডনির সমস্যা থাকলেও নুন খেতে হয় পরিমাণ বুঝে। তবে মানুষ এখন স্বাস্থ্য সম্বন্ধে অনেক বেশি সচেতন। তাই সাধারণ নুনের বদলে সৈন্ধব লবণও খান। কিন্তু সেটি কি আদৌ শরীরের জন্য ভাল?
বাজারে পাঁচ ধরনের নুন পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, প্রতিটি প্রকারেরই নিজস্ব গুণ রয়েছে। শরীরে ইলেক্ট্রোলাইটের সমতা বজায় রাখতে, ব্লোটিং, পেশিতে টান ধরার সমস্যা নিয়ন্ত্রণে কিংবা স্নায়ুর কার্যক্ষমতা সচল রাখতেও সাহায্য করে নুন। রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই নুন কম খান। ‘নো সল্ট’ ডায়েটও করেন অনেকে। তবে আয়ুর্বেদ বলছে, শরীরে নুনের মাত্রা কমে গেলে মিষ্টি খাওয়ার ঝোঁক বেড়ে যেতে পারে। ফলে পরিমিত নুন খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
বাজারে মূলত সাদা রঙের নুন পাওয়া যায়, তার মধ্যেও কিন্তু আয়োডিন-সহ নানা ধরনের খনিজ রয়েছে। থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা ঠিক রাখতে এই খনিজটির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আবার, সৈন্ধব লবণের গুণও কম নয়। এই নুনের মধ্যে রয়েছে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং আয়রন। শরীরে এই খনিজগুলির ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি বিপাকহার উন্নত করতেও সাহায্য করে। যে হেতু সৈন্ধব নুনের মধ্যে খনিজের পরিমাণ বেশি, তাই এটিকে বেশি স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy