জিম ছাড়া জীবন অসম্পূর্ণ দেবলীনার। ছবি: সংগৃহীত।
পুজো মানে নতুন শাড়ি। ঠাকুর দেখা, খাওয়াদাওয়া আর দেদার আড্ডা। পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে ফুচকা, রোল, কাটলেট। রেস্তরাঁর লম্বা লাইন পেরিয়ে বিরিয়ানি, চিনা খাবার। অষ্টমীতে খিচুড়ি, লুচি-ছোলার ডাল, নবমীতে বাড়ির পোলাও-মাংস আর উৎসবের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা রকমের মিষ্টি— এ ক’দিন কোনওটাই বাদ দেওয়া যাবে না। আর সেই পুজো যদি নিজের পাড়ার হয়, তা হলে তো কথাই নেই।
পুজোর ক’দিন দক্ষিণ কলকাতার ত্রিধারা সম্মিলনীর মণ্ডপেই সময় কাটে অভিনেত্রী দেবলীনা কুমারের। পাড়ার পুজো বলে কথা। পুজোর আগে শুটিং না থাকলেও নাচের অনুষ্ঠান, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা আর চুটিয়ে খাওয়াদাওয়া হয়। তবে শরীর নিয়েও যথেষ্ট সচেতন তিনি। দেবলীনা বলেন, “পুজোর ক’দিন তো খুব অনিয়ম হবে। তাই এখন একটু রাশ টেনে রাখতে চেষ্টা করছি। প্রতি দিনই জিমে যাচ্ছি। পঞ্চমী পর্যন্ত রুটিনে কোনও পরিবর্তন নেই।”
তবে জিমে গিয়ে ভারী ভারী ওজন তুলতে পছন্দ করেন না অনেকে। দৌড়ন, হাঁটেন কিংবা সাইকেল চালান। জিমের পাশাপাশি দেবলীনাকে প্রায়শই সাইকেল চালাতে দেখা যায় শহরের বিভিন্ন রাস্তায়। কোনটির উপর তাঁর আস্থা বেশি? দেবলীনার বক্তব্য, “এই বিষয়টা এক-এক জনের কাছে এক-এক রকম। যাঁর যেটা করতে ভাল লাগে, তাঁর সেটাই করা উচিত। তবে আমার কাছে জিমের কোনও বিকল্প নেই। ব্যস্ততা থাকলেও জিমের জন্য ঠিক সময় বার করে নিই।”
পুজোর শহর মানেই আকাশছোঁয়া হোর্ডিং, ফ্লেক্স আর রাস্তা জুড়ে প্যান্ডেল। মনে আগমনীর সুর বাজলেও রাস্তায় বেরোনো বেশ ঝক্কির। রাস্তার প্রায় অর্ধেকটা জুড়ে থাকলে হাঁটাচলা করতেও অসুবিধা হয়। সকালে যাঁরা হাঁটতে বা দৌড়তে বেরোন, তাঁরাও এই সমস্যার শিকার। দেবলীনা বলেন, “এখন রাস্তায় যেখানে-সেখানে পেরেক পড়ে থাকে। তাই সাইকেল নিয়ে বেরোতে পারি না। তা ছাড়া বৃষ্টিও তো পিছু ছাড়ছে না।”
সারা বছর শরীরচর্চা করলেও পুজোর পাঁচ দিন একেবারেই জিমমুখো হন না দেবলীনা। পুজোর ফিতে কাটা বা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও খুব একটা দেখা যায় না তাঁকে। তবে তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চমী পর্যন্ত নাচের অনুষ্ঠান রয়েছে। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত দেবলীনা একেবারে পাড়ার মেয়ে হয়েই থাকতে চান। কারণ, একাদশী থেকে আবার কাজে ফেরার পালা। যদিও ছুটি কাটিয়ে আবার পুরনো ছন্দে ফিরতে একটু কষ্ট হয়, গড়িমসি করেন অনেকে। আজ যাব-কাল যাব করতে করতে জিমে যেতেও অনীহা বোধ করেন। তবে এ ব্যাপারে ব্যতিক্রম দেবলীনা। তাঁর কথায়, “আমার কাছে একাদশী মানে কাজে ফেরা। তেমন কোনও কাজ না থাকলেও জিমে আমাকে যেতেই হবে। আমি কিন্তু এই বিষয়ে খুব কড়া। এক দিনও অতিরিক্ত বিশ্রাম নিই না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy