আমাদের অজান্তেই কিছু অভ্যাস এই ব্যথা বাড়িয়ে তোলে। জেনে নিন মাইগ্রেন থাকলে কোন কাজ ভুলেও নয়। ছবি: শাটারস্টক
প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণা। সঙ্গে বমি বমি ভাব কিংবা মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে গোটা মাথায় ছড়িয়ে পড়া অসম্ভব ব্যথা, সঙ্গে হালকা জ্বর। এই উপসর্গগুলি মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে বেশ পরিচিত। একটানা বেশ ক’দিন থাকার কারণে এই যন্ত্রণা শরীর কাবু করে দেয়। আমাদের অজান্তেই কিছু অভ্যাস এই ব্যথা বাড়িয়ে তোলে। জেনে নিন মাইগ্রেন থাকলে কোন কাজ ভুলেও নয়।
নিজের কোনও ভুলেই মাইগ্রেনকে ডেকে আনছেন না তো? কোন কোন অভ্যাসের জেরে মাইগ্রেনের আশঙ্কা বেড়ে যায়, রইল তার হদিস।
চিনি বেশি খাওয়া: অতিরিক্ত চিনি দেওয়া আছে, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। খাদ্যতালিকায় যত কম চিনিজাতীয় খাবার রাখবেন, ততই ভাল। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
জল কম খাওয়া: আপনি সারা দিনে পরিমাণ মতো জল খান তো? দিনে অন্তত আড়াই লিটার জল না খেলে ডিহাইড্রেশন থেকেও মাইগ্রেন হতে পারে।
ঘুমের অনিয়ম: প্রতি দিন চেষ্টা করুন ঘুমের জন্য অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা বরাদ্দ রাখতে। একান্ত না পারলে অন্তত ৬ ঘণ্টা কিন্তু ঘুমাতেই হবে। এক দিন কম ঘুমোলেন, কোনও এক দিন বেশি ঘুমোলেন, এমন না করে ঘুমের মাত্রা সমান রাখার চেষ্টা করুন।
চড়া আলোয় থাকা: জোরালো আলোয় অনেকেরই মাথা দপদপ করে। এমনটা যদি আপনার হয়, তা হলে কিছু ক্ষণ আলো নিভিয়ে বা অন্ধকার কোনও জায়গায় গিয়ে চোখ বুজে বসে থাকুন।
মরসুম বদল: চড়া রোদ বা কনকনে ঠান্ডা— দু’টিই মাইগ্রেনের জন্য খারাপ। তাই এমন হাওয়ায় একটু সাবধানে থাকতে হবে। এই সময়ে ব্যায়ামের শরণ নিন, যার প্রভাবে মাইগ্রেন দূরে থাকতে পারে। শীতের দিনে গরম পোশাক আর গরমে ছাতা ও রোদচশমার ব্যবহার করতেই হবে।
খালি পেটে থাকা: অনেক ক্ষণ না খেয়ে থাকলে বদহজমের সমস্যা শুরু হয়। গ্যাসের সমস্যা মাইগ্রেনের ব্যথা আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই কাজের মাঝেও সময় বার করে খেতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy