কিছু মশলা আবার শুধু রান্না স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় করে তোলে না, একই সঙ্গে খেয়াল রাখে শরীরেরও। ছবি: সংগৃহীত।
রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করতে অপিরিহার্য ভূমিকা পালন করে মশলা। কষা মাংস থেকে নিরামিষ তরকারি— মশলার গুণেই স্বাদ আসে খাবারে। তবে কিছু মশলা আবার শুধু রান্না স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় করে তোলে না, একই সঙ্গে খেয়াল রাখে শরীরেরও। হলুদ থেকে তেজপাতা, স্বাস্থ্যকর মশলা হিসাবে এগুলির নামডাক ছিলই। তবে এই তালিকায় নতুন সংযোজন হতে পারে ধনে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা থেকে ওজন কমানো— ধনের বহুমুখী উপকারিতা রয়েছে।
ধনেতে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, এ, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো উপকারী উপাদান, যা হজমজনিত সমস্যা দূর করে। তবে অনেকেই জানেন না ধনে ভেজানো জল পেটের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। পেটের বাড়তি চর্বি গলিয়ে ভুঁড়ি কমাতে ধনের অসামান্য ভূমিকা রয়েছে। এমনকি, কিডনির সমস্যা থাকলেও ধনে সারিয়ে তুলতে পারে।
তবে ধনে ভেজানো জল খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল খালি পেটে খাওয়া। এক কাপ জলে সারা রাত ধনে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন খালি পেটে সেটি খান। উপকার পাবেন। তবে এই পানীয়ের সঙ্গে যদি লেবু এবং মধু মিশিয়ে নেন, তা হলে বাড়তি সুফল পাবেন।
সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতেও ধনে খুব উপকারী। কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা খালি পেটে খেলে অ্যালার্জির সমস্যা দূর হবে। সেই সঙ্গে শরীর থেকে যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দিতেও এই পানীয় যথেষ্ট উপকারী। শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে গেলে ওজন ঝরানোও অনেক সহজ হয়ে যায়। ত্বকেও আসে বাড়তি জেল্লা।
ধনে শরীরের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলকে কমিয়ে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে। যকৃতকে সুস্থ রাখতে এই মশলার জুড়ি নেই। ডায়াবিটিসে আক্রান্তদের জন্য ধনে অত্যন্ত উপকারী। ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ধনে। ধনের মধ্যে আয়রন থাকে। তাই রক্তাল্পতা রোধে সাহায্য করে এই মশলা। ধনের মধ্যে ‘সিনিওল এসেনশিয়াল অয়েল’ এবং ‘লিনোলিক অ্যাসিড’ থাকে। এগুলি শরীরের পুরনো ও নাছোড় ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy