ডালে জিরে আর হিঙের ফোড়ন দিলে আর গ্যাস হবে না। ছবি: সংগৃহীত।
সাধারণ সেদ্ধ ডাল নিমেষে বদলে যেতে পারে জিরে আর হিঙের ফোড়ন পড়লে। হেঁশেল থেকে গোটা বাড়ি— গন্ধে ম ম করে। সেদ্ধ ডালের তুলনায় ওই দুই মশলার ফোড়ন দেওয়া ডাল যে অত্যন্ত উপাদেয়, সে আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু এই দুই মশলার ফোড়ন কি শুধু রান্নার স্বাদের জন্যই দেওয়া হয়?
আয়ুর্বেদ বলছে, রান্নায় জিরে এবং হিঙের ফোড়ন শুধু স্বাদ বা ঘ্রাণ বাড়িয়ে দেয় না। এই মশলাগুলির অন্য উপকারিতা রয়েছে। জিরে খাবার হজম করতে সাহায্য করে। আবার হিঙের কাজ অন্ত্র ভাল রাখা। এই দু’টি মশলা একত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ঘিয়ের সঙ্গে মিশলে এই দু’টি মশলারপ কার্ষক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রান্নায় মশলা দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে সুস্থ থাকার চিন্তাভাবনাও। অনেকেরই ডাল খেলে পেটে গ্যাস হয়। পেটফাঁপার সমস্যাতেও ভুগতে হয় অনেককে। রান্নায় হিং দিলে এই ধরনের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে। শরীরের প্রদাহজনিত ব্যথাবেদনাও নিরাময় করে। আবার, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা যেমন অ্যাজ়মা, ব্রঙ্কাইটিস নিরাময়ে ঘরোয়া টোটকা হিসাবে হিঙের ব্যবহার বহু পুরনো। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও এই মশলার ভূমিকা রয়েছে।
অন্য দিকে, হজমে সহায়ক উৎসেচক ক্ষরণে সহায়তা করে জিরে। শরীরে উপস্থিত নানা প্রকার খনিজ শোষণ করতেও সাহায্য করে এই মশলা। গ্যাস, অম্বল, পেটফাঁপার মতো সমস্যাও নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া জিরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও কমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy