অনেকেই বলেন, সকালে খালিপেটে ঠান্ডা নয়, হালকা গরম জল খেতে। এতে ভাল থাকে স্বাস্থ্য। আবার খাওয়ার পরে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল খাওয়ার অভ্যাস রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখে, এমন ধারণা কারও কারও।
কিন্তু যা বলা হয় বা প্রচলিত ধারণার সবটাই কি ঠিক? খাওয়ার পর ঈষদুষ্ণ জল খেলে শরীরে কোনও বদল হতে পারে কি? মেডিসিনের চিকিৎসক শ্রেয়া শ্রীবাস্তব বলছেন, ‘‘খাওয়ার পর ঈষদুষ্ণ জল সারকুলেটরি ফাংশন অর্থাৎ অক্সিজেন সংবহন, পুষ্টি শোষণের প্রক্রিয়া উন্নত করতে সাহায্য করে। তবে এর সঙ্গে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের কোনও ভূমিকা নেই।’’
বর্তমানে ডায়াবিটিসের সমস্যা ঘরে ঘরে। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে নানা রকম ভেষজে যেমন কেউ কেউ আস্থা রাখেন, তেমনই নানা রকম টোটকাও অনুসরণ করেন। তবে রক্তে শর্করার মাত্রা এ ভাবে নিয়ন্ত্রণ হয়ে বলে জানা নেই, বলছেন গুরুগ্রামের চিকিৎসক তুষার তয়াল। তাঁর কথায়, সুগার কমাতে হলে সঠিক ডায়েট, পরিমিত খাওয়া, হাঁটাচলা এবং শরীরচর্চা জরুরি।
আরও পড়ুন:
তবে খাওয়ার পরে ঈষদুষ্ণ জল খাওয়ার অভ্যাস ভাল বলছেন চিকিৎসকদের অনেকেই। কারণ, এই অভ্যাস হজমে সহায়ক। খাবার থেকে শর্করা এবং পুষ্টিগুণ শোষণেও তা সাহায্য করে। কারও মতে, মেদ গলাতেও ঈষদুষ্ণ জল খাওয়া উপকারী।
শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ সঠিক ভাবে সম্পাদনের জন্য পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি, বলেন চিকিৎসকেরা। হার্ট, কিডনি বা বিশেষ কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে দিনে ২-৩ লিটার জল খেতে বলা হয়। জল শরীরে বিপাকক্রিয়ার ফলে তৈরি দূষিত পদার্থ বার করে দিতে সাহায্য করে।
চিকিৎসক নরেন্দ্র সিংঘলার পরামর্শ, রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে হলে শুধু খাবার পর ঈষদুষ্ণ জল খাওয়া নয়, শরীরচর্চাও জরুরি। তা ছাড়া, ডায়াবেটিকদের জন্য উপযুক্ত ডায়েটও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, ঈষদুষ্ণ জল, শরীরে জলের ঘাটতি পূরণে, টক্সিন বার করে দিতে সাহায্য করতে পারে। তবে সরাসরি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে এ বিষয়ে কোনও প্রামাণ্য তথ্য নেই।