অসাধ্যসাধন করেছেন নীরজ। ছবি: সংগৃহীত।
জিম, ডায়েট না করেও যে রোগা হওয়া যায়, সেটি প্রমাণ করলেন গুজরাতের ভাবনগরের বাসিন্দা নীরজ। পেশায় ব্যবসায়ী নীরজ ২৩ কেজি ওজন কমিয়েছেন কোনও রকম ডায়েট না করে বা জিমে যাওয়া ছাড়াই। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। কী করে সম্ভব হল এমন, সেটি জানতে অনেকেই কৌতূহলী। নীরজের ফিটনেস প্রশিক্ষক সতেজ গোহেল কৌতূহলের নিরসন ঘটিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘরোয়া খাবার খেয়ে আর বাড়িতে ব্যায়াম করেই এই অসাধ্যসাধন করেছেন নীরজ।
ওজন ঝরাতে জিম, ডায়েটের উপরেই ভরসা রাখেন সিংহভাগ মানুষ। নিয়মিত একটা ধরাবাঁধা নিয়মে থাকেন। সেখানে রোগা হওয়ার জন্য অন্য পথে কেন হাঁটলেন নীরজ? কী ভাবেই সম্ভব হল এই প্রায় অসম্ভব ব্যাপারটি?
জিম কিংবা ডায়েটের প্রতি প্রথম থেকেই অনীহা ছিল নীরজের। তাই জিমে ভর্তি হননি। বাড়িতেই শরীরচর্চা শুরু করেন। রোজ দু’বেলা কয়েক কেজির ডাম্বেল তুলতেন নীরজ। এ ছাড়া ঘরেই করা যায় এমন শরীরচর্চা নিয়মিত করতেন। ধারাবাহিকতায় কোনও ফাঁক ছিল না। অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গেই শরীরচর্চা করতেন তিনি। খাওয়াদাওয়া নিয়েও কঠোর নিয়ম মানতেন, এমন নয়। আমিষ খেতেন না। শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের জন্য পনির, সয়াবিন, ডাল বেশি করে খেতেন। প্রোটিনের পর্যাপ্ত জোগান, তাঁকে রোগা হতে সাহায্য করেছিল। ওজন কমানোর চেষ্টা শুরু করার আগে নীরজের ওজন ছিল ৯১ কেজি। ১০ মাসের মধ্যে ২৩ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছেন নীরজ। তাঁর ওজন এখন ৬৮ কেজি।
এই ঘটনা অনেককেই অনুপ্রাণিত করেছে। জিমে গিয়ে, সারা ক্ষণ ডায়েটের মধ্যে থেকেও রোগা হতে পারেননি, এমন উদাহরণ অনেক আছে। হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দিয়েছেন তাঁদের অনেকেই। তবে নীরজের কথা জানার পর বেশ কিছু মানুষ আবার নতুন করে হাল ধরার কথা ভেবেছেন। ধারাবাহিক ভাবে সঠিক পথে পরিশ্রম করলেই যে লক্ষ্যপূরণ করা যায়, সেটিই যেন মনে করিয়ে দিল নীরজের ওজন কমানোর এই লড়াই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy