সোমনাথ কুন্ডু রূপটানশিল্পী
কী করেন?
দুষ্টু লোককে ভ্যানিশ করে ভাল লোক বানিয়ে ফেলতে পারেন। প্ল্যানচেট ছাড়া গত শতকের কোনও প্রিয় তারকাকে সামনে এনে দাঁড় করাতেও সক্ষম। সাদাকে কালো। আবার তুলির টানেই কালোকে সাদা। তাঁর হাতের জাদুতে সব সম্ভব। জনপ্রিয় নায়কের চেহারা বদলে বানিয়ে ফেলেন কঠিন খলনায়কের মুখ। সে কালের পরিচালককে ফিরিয়ে আনেন এ কালের অভিনেতার মধ্যে। তাঁর রং-তুলি, মেকআপের বাক্স এখন সারা দেশেই বিখ্যাত। টলিপাড়ার প্রিয় মেকআপ শিল্পী সোমনাথ পাড়ি দিয়েছেন বলিউডেও। সারা দেশে প্রস্থেটিক মেকআপে হাত পাকিয়েছেন মাত্র কয়েক জন শিল্পীই। সোমনাথ তাঁদের অন্যতম।
কেন?
অনীক দত্তের ‘অপরাজিত’ ছবিতে বাঙালির প্রিয় সত্যজিৎ রায়কে ফিরিয়ে এনে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন সোমনাথ। স্বপন সাহা থেকে সৃজিত মুখোপাধ্যায়, প্রভাত রায় থেকে অরিন্দম শীল, কাজ করেছেন এ কালের বহু পরিচালকের সঙ্গে। সৃজিতের ‘ভিঞ্চি দা’ ছবির অনুপ্রেরণা তিনিই বলে মনে করেন অনেকে। সোমনাথের প্রস্থেটিকের কাজ দেখা গিয়েছে ‘এক যে ছিল রাজা’, ‘পদাতিক’, ‘গুমনামি’, ‘মহানন্দা’, ‘জুলফিকর’ ছবিতেও। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ওয়েব সিরিজ় ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’-এ শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের লুকও তাঁর হাতেই তৈরি।
আর কী?
রূপটানশিল্পী হিসাবে কাজ করছেন সেই ১৯৯৬ সাল থেকে। প্রায় তিন দশক ধরে সাজিয়েছেন টলিপাড়ার বহু সুন্দরীকে। ছোটবেলায় অবশ্য ভেবেছিলেন, লেখাপড়া শেষ করে স্কুলশিক্ষক হবেন। কিন্তু ছবি আঁকার হাত দেখে বাবার ইচ্ছা হয় ছেলে মেকআপের কাজ করুক। বাবা আর ঠাকুর্দা ছিলেন সে কালে বাংলা ছবির ‘কস্টিউম ম্যান’। স্কুল পার করেই সোমনাথ নাম লেখান ছবির জগতে। প্রথমে প্রতিষ্ঠিত মেকআপ শিল্পীর সহায়ক। তিন-চার বছরের মধ্যেই স্বতন্ত্র শিল্পী। নিজের প্রথম ছবি প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ‘জামাইবাবু জিন্দাবাদ’। ২০০০ সালে জাতীয় পুরস্কার পাওয়া ‘প্রহর’ ছবিরও রূপটানশিল্পী ছিলেন সোমনাথ।
এর পর?
বাংলা ছবির ব্যস্ততা তো থাকবেই। যএমন ণৃণাল সেনের জীবনের উপর আধার করে তৈরি ছবিতে বাংলাদেশের অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীকে মৃণাল ‘তৈরি করা’। তার সঙ্গে হাত দিয়েছেন মুম্বইয়ের কাজেও। সইফ আলি খান আর ঐশ্বর্যা রাইকে নিয়ে সুজয় ঘোষের তৈরি করছেন নতুন ওয়েব সিরিজ় ‘দ্য ডিভোশন অফ সাসপেক্ট এক্স’। সেই সিরিজ়ের জন্য প্রস্থেটিক্সের কাজ করছেন সোমনাথ। আবার অপর্ণা সেনের নতুন ছবিতেও দেখা যাবে তাঁর হাতের কাজ।
১৯৯৫ সালে শুরু। দীর্ঘ দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাজগতে প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে রেখেছে ইআইআইএলএম-কলকাতা। দৈনিক পাঠ্যক্রম হোক বা শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শুরুর থেকেই বাস্তব চাহিদা অনুযায়ী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থায় শিক্ষার্থীদের কেরিয়ার সুনিশ্চিত করছে এই প্রতিষ্ঠান।