ঋত্বিক চক্রবর্তী অভিনেতা
কী করেন?
বড় পর্দা থেকে ওটিটি— সর্বত্র অনায়াস বিচরণ তাঁর। কখনও তিনি গোয়েন্দা, কখনও আবার এ কালের খেটে খাওয়া মানুষের মুখ। ২০০৭ সাল থেকে টলিপাড়ায় তৈরি নানা ছবিতে দেখা দিচ্ছেন মুখ্যচরিত্র হিসাবে। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবি ‘শব্দ’-এর কেন্দ্রচরিত্র তারক দত্ত হিসাবে নজর কেড়েছেন। তার আগে অঞ্জন দত্তের ‘চলো লেট্স গো’ ছবিতে শেখর, রাজ চক্রবর্তীর ‘লে ছক্কা’ ছবিতে রজতের ভূমিকায় কাজ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। অরিন্দম শীলের ‘আবর্ত’, আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তের ‘আসা যাওয়ার মাঝে’, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘ভিঞ্চি দা’ তাঁর অভিনীত গুরুত্বপূর্ণ ছবিগুলির মধ্যে কয়েকটি।
কেন?
ফেলুদা-ব্যোমকেশে অভ্যস্ত বাঙালিকে নতুন ধরনের গোয়েন্দার সন্ধান দিয়েছেন ঋত্বিক। ওয়েব সিরিজ ‘গোরা’-এ তাঁর চরিত্র বাঙালির চেনা মগজাস্ত্রের সমকালীন রূপ দেখিয়েছে। গোরারূপী ঋত্বিক বাঙালি এবং বঙ্গসমাজকে এক নতুন ধরনের গোয়েন্দা দেখাচ্ছেন। যে গম্ভীর নয়। তড়বড়িয়ে কথা বলে। কিন্তু রহস্যের সমাধানও করে।
আর কী?
অভিনয়ই প্রথম প্রেম। সেই টানেই ব্যারাকপুর ছেড়ে কলকাতায় পাড়ি। কর্মজীবন শুরু হয়েছিল সেল্সের চাকরি দিয়ে। কিছু দিনেই বুঝে যান তাতে মন ভরবে না। অভিনয়টাই তাঁর জীবন। সেই থেকে নতুন পথ, নতুন লড়াই শুরু। ২০০৭ সালে প্রথম ছবি ‘পাগল প্রেমী’। তার পর আর ফিরে তাকানোর সুযোগ ঘটেনি। অতনু ঘোষের ‘বিনিসুতোয়’ থেকে রাজ চক্রবর্তীর ‘ধর্মযুদ্ধ’, অধুনা বড় পর্দায় ‘মায়ার জঞ্জাল’ থেকে ওটিটি-তে ‘গোরা’— নানা ধরনের ছবিতে সমান দাপটের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন ঋত্বিক।
এর পর?
শুধু ফিচার ছবি আর ওয়েব সিরিজে আটকে রাখতে চান না নিজেকে। যতই সফল হোন না, আরও নতুন কাজে হাত পাকানোর উৎসাহ তাঁর কমেনি। এক বন্ধুর সঙ্গে তাই চালু করে ফেলেছেন নিজের প্রযোজনা সংস্থা ‘১৮০ ডিগ্রি’। তার মধ্যেই অবশ্য চারটি ছবি ও সিরিজের জন্যও শুট করে চলেছেন অবিরাম। চলছে ‘গোরা’-র দ্বিতীয় মরসুমের কাজ। পাওলি দামের সঙ্গে দেখা দেবেন ‘পাহাড়গঞ্জ হল্ট’-এ। রাজ চক্রবর্তীর ওয়েব সিরিজও করছেন তিনি। এ সবের মাঝে দিক কয়েকের ফুরসত খুঁজছেন। অভিনেত্রী স্ত্রী অপরাজিতা ঘোষ দাসের সঙ্গে ছুটি কাটাতে লাদাখ যাওয়ার বহুদিনের ইচ্ছে বাস্তব করতে চান।
১৯৯৫ সালে শুরু। দীর্ঘ দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাজগতে প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে রেখেছে ইআইআইএলএম-কলকাতা। দৈনিক পাঠ্যক্রম হোক বা শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শুরুর থেকেই বাস্তব চাহিদা অনুযায়ী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থায় শিক্ষার্থীদের কেরিয়ার সুনিশ্চিত করছে এই প্রতিষ্ঠান।