শৌনক সেন পরিচালক
কী করেন?
ছবি বানান। প্রথম ছবি থেকেই নজরে। দ্বিতীয় তথ্যচিত্র এখন চর্চায় বিশ্বজুড়ে। দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণজ্ঞাপন নিয়ে লেখাপড়া। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি। তার পর থেকে নিয়মিত চলেছে ছবি বানানোর কাজ।
কেন?
ছবি বানিয়ে বিশ্বজয় করা বাঙালি নাম খুব বেশি শোনা যায় না। তাঁর ছবির বিষয় আবার যে সে নয়। ‘পরিবেশ’ নিয়ে যে ভাবা যেতে পারে এ ভাবে, তা-ও শেখাচ্ছে ‘অল দ্যাট ব্রিদস’। ইতিমধ্যেই দেশবিদেশের নামী জায়গায় আলোচনা শুরু হয়েছে শৌনকের তথ্যচিত্র নিয়ে। আমেরিকা থেকে ফ্রান্স, হংকং থেকে কানাডা— দুনিয়া কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে তাঁর ছবিতে দেখানো দিল্লির দুই ভাইয়ের কাহিনি। বাস্তুতন্ত্র সংক্রান্ত গুরুতর যে সব কথা মুখে বলে বোঝানো যায় না, সরল গল্পের মাধ্যমে তা বোঝায় তাঁর তথ্যচিত্র।
আর কী?
‘অল দ্যাট ব্রিদস’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকে জীবনটাই বদলে গিয়েছে তাঁর। দিল্লির এই বাঙালি যুবককে এখন এ দেশে দেখাই প্রায় যায় না। কখনও হলিউডের টম ক্রুজ, স্টিফেন স্পিলবার্গদের সঙ্গে ছবিতে মুখ দেখা যাচ্ছে তো কখনও আবার নিজের ছবির বিশেষ প্রদর্শনের জন্য ছুটতে হচ্ছে ফ্রান্সে। তবে ছবি বানানোর পাশাপাশি আরও নানা কাজে শৌনক মন দিয়েছেন বরাবর। দিল্লি এবং বার্লিনে দেখানো হয়েছে তাঁর তৈরি ইনস্টলেশন ‘ডাউনটাইম’। করেছেন ‘নোট্স অফ মোর্নিং’ নামে ভিডিয়ো ইনস্টলেশনও। শিল্পের নানা মাধ্যম নিয়ে পরীক্ষা করার ইচ্ছা তাঁর মধ্যে সব সময়েই আছে। তবে দিল্লির ধূসর জগৎ যেন কঠিন ভাবেই তাঁকে নাড়া দিয়েছে।
এর পর?
‘অল দ্যাট ব্রিদস’ নিয়ে ঘুরছেন নানা দেশে। কিন্তু সেই ছবি নিজের দেশে কবে দেখানো হবে, আপাতত তার অপেক্ষায় আছেন শৌনক। তার সঙ্গে রয়েছে নতুন কাজের ভাবনাও।
১৯৯৫ সালে শুরু। দীর্ঘ দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাজগতে প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে রেখেছে ইআইআইএলএম-কলকাতা। দৈনিক পাঠ্যক্রম হোক বা শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শুরুর থেকেই বাস্তব চাহিদা অনুযায়ী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থায় শিক্ষার্থীদের কেরিয়ার সুনিশ্চিত করছে এই প্রতিষ্ঠান।