দেবশ্রী ঘোষ বিজ্ঞানী
কী করেন?
অণু-পরমাণু নিয়েই ব্যস্ততা। সে জগতে ডুব দিয়ে নানা রহস্য উদ্ঘাটনে মত্ত থাকেন দেবশ্রী। যাদবপুরের ‘ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স’-এ অধ্যাপিকা। কোয়ান্টাম কেমিস্ট্রি নিয়ে গবেষণা করেন। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক। বেঙ্গালুরুর ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স’-এ স্নাতকোত্তর। এর পর গবেষণা করতে আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান শ্রীরামপুরের এই কন্যা।
কেন?
‘কোয়ান্টাম কেমিস্ট্রি’ বুঝতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহারের যে চেষ্টা তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন, তা সাড়া ফেলেছে বিশ্বজুড়ে। স্বীকৃতিও পেয়েছেন নতুন ধরনের এই উদ্যোগের জন্য। দেশবিদেশের নানা প্রান্তে বিজ্ঞানচর্চায় যুক্ত আছেন বাঙালিরা। তবে এই বাঙালি কন্যা অনেকের মধ্যে আলাদা। চল্লিশে পা রাখার আগেই তাঁর অবাধ যাতায়াত বিজ্ঞানের কমচর্চিত কিছু পথে।
আর কী?
তরুণ বিজ্ঞানীদের ছকভাঙা ভাবনার জন্য একটি বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়। নোবেলজয়ী রসায়নবিদ ওয়াল্টার কোনের নামাঙ্কিত এই সম্মানটি ২০২২ সালে পেয়েছেন দেবশ্রী। চল্লিশ-অনূর্ধ্ব বিজ্ঞানীরাই এই সম্মান পেয়ে থাকেন। ভারতে এই সম্মান এসেছে প্রথম এই বাঙালিনীর দৌলতে। দেশে প্রথম বারের জন্য আরও একটি স্বীকৃতি এসেছে দেবশ্রীর হাত ধরে। তা হল ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ কোয়ান্টাম মলিকিউলার সায়েন্স’-এর পদক। এই সম্মানও দেওয়া হয় চল্লিশ বছরে পৌঁছনোর আগে, রসায়নের জগতে বিশেষ সাফল্য অর্জনের জন্য।
এর পর?
কোয়ান্টাম কেমিস্ট্রি বুঝতে যে ভাবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন দেবশ্রী, তা রসায়নচর্চার ক্ষেত্রে অনেকটাই নতুন। গোটা বিশ্বে এমন কাজ এখনও পর্যন্ত কমই হয়েছে। সেই কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান দেবশ্রী। দেখতে চান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নানা ক্ষেত্র কী ভাবে একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠে নতুন নতুন ধাঁধার সমাধান করে।
১৯৯৫ সালে শুরু। দীর্ঘ দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাজগতে প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে রেখেছে ইআইআইএলএম-কলকাতা। দৈনিক পাঠ্যক্রম হোক বা শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শুরুর থেকেই বাস্তব চাহিদা অনুযায়ী দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থায় শিক্ষার্থীদের কেরিয়ার সুনিশ্চিত করছে এই প্রতিষ্ঠান।