দু’টো বৈশিষ্ট্য। কোনও মানুষের চরিত্রে যেগুলো থাকলে সে ‘শাহরুখওয়ালে’ হতে পারবে? আপনার মতো হতে পারবে!
প্রচুর ধৈর্য আর নিজেকে উজাড় করে দেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। উজাড় করতে গেলে অনেক সময় লোকে ভুল বুঝবে। অলস ভাববে। ভয় পাচ্ছে ভাববে। কিন্তু এর একটাকেও পাত্তা না দিয়ে নিজেকে উদার রাখতে হবে।
দু’টো রেজোলিউশন যা জন্মদিনে নেবেন এবং অবধারিত ভাঙবেন।
একটা স্মোকিং না ছাড়া। দুই, হেলদি লাইফস্টাইল অনুসরণ করা। দু’টোই করতে চাইব। করতে পারব না।
দু’টো এমন ব্যর্থতার কথা বলুন ঊনপঞ্চাশ বছরেও যাকে হারাতে পারেননি।
একটা পুরো ফুটবল ম্যাচ চোট না পেয়ে শেষ করতে পারিনি। আর দ্বিতীয়টা হচ্ছে টানা দশ ঘণ্টা ঘুমোইনি। সেটা ঊনপঞ্চাশ বছর না হলেও লাস্ট দশ বছর তো বটেই।
দু’টো পাগলামি। এ বারের জন্মদিন থেকে শুরু নতুন এক বছরে যেগুলো করবেন?
আমি এমনিতেই পাগল। বেঁচে থাকলে পাগলামি করেই যাব।
দু’টো ভয় যা আপনাকে আজীবন তাড়া করে আসে।
ভয়টা হল, আমার হাত দু’টো কেউ কেটে দেবে। আমি যতবার হাতদু’টো উপরে তুলি অদ্ভুত এই ভয়টা হয়। কিছুতেই ভয় আর যায় না। কেকেআর প্রথম ম্যাচ হেরে যাচ্ছে এ সব দুশ্চিন্তা এখন আর আমার হয় না। এখন টিমটা এমন দাঁড়িয়ে গিয়েছে যে, কারও একার উপর নির্ভরশীল নয়। অসম্ভব এনার্জি। কেউ না কেউ ঠিক করে দেবে। গৌতম গম্ভীর যাই করুক না কেন, ঠিক করুক, ভুল করুক টিম ঠিক ওর পিছনে দাঁড়িয়ে যাবে। টিমটা একটা অটোপাইলট মোডে চলে গিয়েছে। কেউ কেউ আমাকে বলেছে এসআরকে স্পিরিট। আমি বলেছি, না, কেকেআর স্পিরিট। কলকাতা স্পিরিট। এই যে কাগজে লিখছে রণবীরের টিম। অভিষেকের টিম। আমি একমত নই। আমার মনে হয় এ ভাবে দেখা উচিত মুম্বইয়ের টিম, চেন্নাইয়ের টিম।
দু’টো পরামর্শ যা অ্যাব্রামের বয়সীদের দেবেন।
বি হ্যাপি। এবং মিষ্টি করে একটু পাগলামি করে যাও।
দু’টো কারণ যার জন্য কলকাতার পড়ে থাকা অংশের ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ দেখা উচিত।
এক, তারা এখনও দেখেনি বলে। আর দ্বিতীয়ত, এটা একটা ‘হ্যাপি’ ছবি বলে। এই ছবিতে ফার্স্ট হাফে চরিত্রগুলোকে এস্টাব্লিশ করতে আমাদের একটু সময় লেগেছে ঠিকই। তবে এখানে আমি দাম্ভিক হতে চাই না কিন্তু লোকে আমার ছবি মানে শাহরুখ খানকেই দেখতে আসে। সেটাকে মাথায় রেখেই বাকি চরিত্রগুলোকে আমাকে কিছুটা জায়গা ছাড়তে হয়েছে। তা ছাড়া ছবিটা করতে গিয়ে একটা অদ্ভুত টিম তৈরি হয়ে গিয়েছে আমাদের। যা ছবি শেষ হওয়ার পরেও অটুট রয়েছে। কলকাতায় যে অভিষেক-দীপিকা আসতে পারেনি তার জন্য তারা বারবার ফোন করছে। এ রকম টিম গেম আমি খুব কম ছবিতেই দেখেছি। এই টিমটাকে দেখার জন্যই ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ দেখা উচিত।
মনে আছে কুড়ি বছর আগে ‘ডর’ রিলিজের পর পর এ রকম কলকাতায় এসেছিলাম। তখনও জানতাম না ছবি হিট হয়েছে কি না। আমার তখনকার সেক্রেটারি আনোয়ার ফোন করে বলে ছবি হিট। তারপরই একজন সিঙ্গাপুর থেকে যশজিকে ফোন করে বলল, এটা একটু অন্য রকমের ছবি। তাই ঠিক বুঝতে পারছিলাম না কী হচ্ছিল। অসম্ভব টেনশনে ছিলাম আমি আর জুহি। শুতে গেলাম।
তারপর রাত সাড়ে তিনটের সময় দেখি জুহি দরজায় নক করছে। আমাকে আর জুহিকে যারা চেনে তারা জানে আমরা নাইটক্লাবে খুব একটা যাই না। দরজা খুলে দেখি জুহি বলছে, ‘অসম্ভব টেনশন হচ্ছে। ঘুম আসছে না। চলো নাইটক্লাবে যাই’। ভোর পাঁচটার সময় ঘুমোতে গিয়েছিলাম। পরের দিন কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু যাওয়ার কথা। সকালবেলা যশজি ফোন করেছিল ঘরে। জিজ্ঞেস করল আমি রেডি কি না। বললাম, ব্রাশ করা হয়ে গিয়েছে, আমি রেডি। তারপর যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আর উঠিইনি। হোটেলের ঘরের দরজা ভেঙে আমাকে ওঠাতে হয়েছিল।
আজ কুড়ি বছর পর সময় পাল্টে গিয়েছে। এখন আমার একটা টিম আছে যারা আমাকে প্রত্যেক জায়গার কালেকশনের কথা জানায়। আজ ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’য়ের সাফল্যের সময় ‘ডর’য়ের সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে।
দু’টো ফিল্ম যা এই এক বছরে আপনার না দেখলেই নয়!
প্রথমটা ‘নিনজা টার্টেল’। দ্বিতীয়, আমার পরের ছবি ‘ফ্যান’।
দু’টো রেকর্ড যা এই এক বছরে ভাঙবেন। একটা অবশ্য করেই ফেলেছেন।
ভাঙব কি না জানি না। তবে রেকর্ড গড়তে চাই। আমি আমার কোম্পানি রেড চিলিজকে একটা আন্তর্জাতিক মানের স্টুডিয়োয় পরিণত করতে চাই। সেখানে আতিথেয়তা হবে সর্বোচ্চ মানের। স্টারদের জন্য ঘরগুলো হব্ েএই গ্র্যান্ড হোটেলের ঘরগুলোর মতো হবে। ক্যান্টিন থাকবে। প্রেস রুম থাকবে। এত বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করার পর স্টুডিয়ো বানানোটা আমার কর্তব্য।
এমন দু’টো সিকোয়েন্স বেছে নিতে হবে আমাদের ৫ ড্রিম সিকোয়েন্সের মধ্যে, যা আপনার জীবনে ঘটতে পারে।
ওকে। শুরু করুন।
সুনীল নারিনকে চাকিংয়ের ছুতোয় পরের আইপিএল-এর প্রথম ম্যাচে মাঠে নামতে দেওয়া হল না। এসআরকে ফেটে পড়লেন ক্ষোভে। প্রচণ্ড গালাগাল দিলেন আইসিসি-কে।
ওরে বাবা। আইসিসি আর বিসিসিআই-কে গালাগাল দিতে পারি নাকি! সম্ভবই নয়! নারিনকে খেলতে দেবে না কেন? ঠিক খেলবে। বল করবে। আর অপোনেন্টকে অলআউট করে দেবে ৪০ রানে। প্রবলেম হবে ইডেনের দর্শকদের। তাদের জন্য খেলাটা খুব আগে শেষ হয়ে যাবে।
সিগারেট খাওয়া এত কমিয়ে আনবেন যে, দৈনিক মাত্র দু’টো।
এটা হলে তো আমার ফ্যামিলি সবচেয়ে খুশি হবে। পারব তো না। খুব একটা বাস্তবসম্মত মনে হচ্ছে না।
কহতে হ্যায় হামকো প্যার সে ইন্ডিয়াওয়ালে: সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে টিম ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আমন্ত্রণ জানালেন সল্ট লেক স্টেডিয়ামে আইএসএল ম্যাচ দেখতে।
কী বলব আমার খুব দুঃখ যে, কলকাতা টিমটা আমি নিতে পারলাম না। আমার ভীষণ ইচ্ছে ছিল কলকাতা ফুটবল টিমটা আমি কিনি। আমি আর কোনও টিম কিনতে আগ্রহী ছিলাম না। শুধু কলকাতা। যখন আইপিএল নিলাম হয়েছিল, তখনও তাই। জয়পুর ছিল। চণ্ডীগড় ছিল। আমি শুরু থেকেই কলকাতা ধরে বসেছিলাম। আইএসএল ম্যাচ এখনও টিভিতে টানা বসে দেখা হয়নি। তবে টিভি প্রোডাকশন খুব ভাল। যত দেখছি তত খারাপ লাগছে। আসলে আমি চেয়েছিলাম একা কিনতে। অনেকে মিলে পার্টনারদের সঙ্গে নয়। সেটা বোধহয় কলকাতার বেলা সম্ভব ছিল না।
এসআরকে ঘুমোতে যাবেন রাত দশটায়।
দশটায় তো আমি সে দিনই ঘুমোতে গিয়েছিলাম। আর একদিন অসুস্থ থাকার জন্য রাত আটটাতেই শুয়ে পড়ি। তবে এটাও ঠিক যে গত দশ বছরে আগে ঘুমোতে যাওয়া ঘটেছে বোধহয় ওই দু’বারই। কাজেই এটাও হয়তো খুব বাস্তব সম্মত নয়।
ক্রিসমাস কেক কাটছেন আপনি আর সলমন খান।
ধুর্। আমরা তো ঈদ একসঙ্গে কাটাই। ক্রিসমাস কেক কাটতে যাব কেন?
‘চার্লি’র রেকর্ড
• হায়েস্ট ওপেনিং অব অল টাইম: প্রথম দিনেই আয় ৪৪.৯৭ কোটি টাকা
• হায়েস্ট উইকএন্ড কালেকশন অব অল টাইম: তিন দিনে নেট আয় ১০৮.৮৬ কোটি টাকা
• দ্য ফাস্টেস্ট হান্ড্রেড ক্রোর গ্রসার
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy