জ়িনাত আমন। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৭১ সালে দেব আনন্দের ছবি ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’-এ শোনা গিয়েছিল ‘দম মারো দম’। এই ছবিতে সত্তরের দশকে পর্দায় ঝড় তুলেছিলেন অভিনেত্রী জ়িনাত আমন। সুন্দরী, তন্বী জিনত নেশায় ডুবে আছেন। তাঁকে ঘিরে রয়েছেন যুবক-যুবতীরা। তাঁরাও নেশায় আচ্ছন্ন। রূপ-যৌবন-গ্ল্যামারের এমন সহাবস্থান এর আগে খুব একটা দেখেনি বলিউড। নায়িকা তো বটেই, খলনায়িকার চরিত্রেও দর্শকের কাছে আকর্ষণীয় ছিলেন এই বলি অভিনেত্রী। জ়িনাতের শরীরী ভাঁজ, চোখের ইশারা ও হাসির আবেদনে পারদ চড়ত বলিউডে। ১৯৭১-এ ‘হরে রামা হরে কৃষ্ণা’-য় জ়িনাত অভিনয় করেছিলেন এক নেশায় আসক্ত মহিলার চরিত্রে। যদিও এই ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে রীতিমতো গঞ্জিকা সেবন করতে হত তাঁকে। তার পরই যেন চলাফেরার শক্তি থাকত না। জ়িনাতের মনে হত আকাশে ঘুড়ির মতো উড়ছেন।
ছবিতে দেব আনন্দ ছিলেন জ়িনাতের দাদার ভূমিকায়। বলিউডে কেরিয়ারের শুরুতে নায়িকার বদলে খলনায়িকার এই চরিত্র বেছে নিতে হয়েছিল। ভাল মেয়ের খারাপ হওয়ার গল্পে কষ্ট পেয়েছিলেন দর্শক। তবে পছন্দ করেছিলেন জ়িনাতকে। বক্স অফিসে সফল হয়েছিল এই ছবি। এই ছবির শুটিং হয়েছিল নেপালের কাঠমাণ্ডুতে।
শুটিং চলাকালীন গঞ্জিকা সেবন করতেন অভিনেত্রী। বয়সটাও কম ছিল সেই সময়। জ়িনাতের কথায়, “দেব আনন্দ বলেছিলেন দৃশ্যেটা যেন স্বাভাবিক মনে হয়। সেই কারণে একের পর এক ছিলিম টানতে হত আমাকে। যখন শুট শেষ হত, তত ক্ষণে চলাফেরার ক্ষমতা থাকত না। আমি যেন আকাশে ঘুড়ির মতো উড়ছি। হোটেলে পর্যন্ত পৌঁছনোর মতো অবস্থা থাকত না। সারা ক্ষণ মাথা ঝিমঝিম করত। চারপাশে হিমালয়ের সৌন্দর্য যেন আমাকে শান্ত করত।’’ যদিও বেশি দিন মাদক সেবন করতে পারেননি অভিনেত্রী। তাঁর মায়ের কানে খবর পৌঁছতেই সব বন্ধ করে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy