পারিশ্রমিক বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে মতবিরোধ চলছেই দুই সংগঠনের মধ্যে।
আবার প্রকাশ্যে ফেডারেশন-প্রযোজক কাজিয়া। পারিশ্রমিক বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে মতবিরোধ চলছেই দুই সংগঠনের মধ্যে। আশু সমাধানের খোঁজে টিম সদস্যদের নিয়ে শনিবার অন্তর্বতী বৈঠকে বসতে চলেছে ফেডারেশন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রযোজক আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, বৈঠক সফল হলে কাজকর্ম স্বাভাবিক ভাবেই চলবে। আলোচনা ব্যর্থ হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে ধারাবাহিকের কাজ। প্রযোজক-পরিচালক শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে এ ব্যাপারে ফেডারেশনের সম্পাদক অপর্ণা ঘটকের সাফ জবাব, সংগঠন এক্ষুণি বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে রাজি নয়। কোনও বক্তব্য থাকলে সদস্যরা নিজেরাই যোগাযোগ করবেন।
কিছু দিন আগে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দেরি করে পারিশ্রমিক ঢোকার কারণে সাময়িক ভাবে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল একটি ধারাবাহিকের কাজ। লকডাউনে প্রযোজকদের দেয় অর্থ কলা-কুশলীরা গ্রহণ করায় সেই অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ফেডারেশন। সংগঠনের যুক্তি ছিল, কাজ না করে তাদের কর্মীরা টাকা নেবেন ন। সেই দাবি মেনে ঠিক হয়েছিল, প্রতি মাসে পারিশ্রমিক থেকে নির্দিষ্ট অর্থ কেটে নেবেন প্রযোজক। বাস্তবে সেটা ঘটতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। ‘তিতলি’ ধারাবাহিকের প্রযোজক, পরিচালক সুশান্ত দাস কলাকুশলীদের পারিশ্রমিক থেকে নির্দিষ্ট অর্থ কেটে নিতেই বেঁকে বসেন কলাকুশলীরা। আচমকাই তাঁরা কাজ বন্ধ করে দেন।
এ বার কী নিয়ে সমস্যা? প্রযোজকের কথায়, পারিশ্রমিক বৃদ্ধি, রাতে কাজ বন্ধ রাখা, ফেডারেশনের কলা-কুশলীদের বাধ্যতামূলক ভাবে নেওয়া সহ এক গুচ্ছ দাবি-দাওয়া রয়েছে ফেডারেশনের। যার অনেকগুলোই এক্ষুণি প্রযোজকদের মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আপাতত সেগুলো নিয়েই নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবে ফেডারেশন। তাঁর ক্ষোভ, দীর্ঘ লকডাউনের পরে ছন্দে ফিরছিল টেলিপাড়া। এই দোলাচলে ফের ছোট পর্দার সঙ্গে যুক্ত সবাইকে দুর্দিনের মুখ দেখতে হতে পারে। কোনও ভাবেই কি এই সংঘাত ঠেকানো সম্ভব নয়? প্রযোজকের মতে, সেক্ষেত্রে আরও একবার রাজ চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়কে মধ্যস্থতার অনুরোধ জানানো হবে।
আনন্দবাজার অনলাইনের থেকে প্রথম এই খবর পান ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের পরিচালক রাজেন্দ্র প্রসাদ দাস। শঙ্কিত পরিচালক বলেছেন, ‘‘আন্তরিক ভাবে চাইছি আলোচনায় মিটুক সব সমস্যা। ধারাবাহিকের ব্যাঙ্কিং বেশি নেই। নেতিবাচক কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হলে পথে বসবেন ইন্ডাস্ট্রির মানুষজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy