সঞ্জীবনী
ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে সিনেমার ক্ষেত্রে চমক তৈরির কাজ অনেক বছর আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই ধারা এ বার দেখা যাচ্ছে ধারাবাহিকে। হিন্দি ও বাংলা দু’টি ভাষাতেই নতুন রূপে ফিরে এসেছে এক সময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলি। হিন্দিতে চলছে ‘কসৌটি জ়িন্দেগি কে’, ‘সঞ্জীবনী’। বাংলায় ‘এখানে আকাশ নীল’, ‘দুর্গা দুর্গেশ্বরী’। এই ধারাবাহিকগুলিকে ঠিক সিকুয়েল বলা যায় না। আগের ‘সঞ্জীবনী’ যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই শুরু হয়েছে নতুন শো। ‘কসৌটি...’ এবং বাংলা ধারাবাহিক দু’টির প্লটে পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে মুখ্য চরিত্রগুলির মধ্যে আগের সিজ়নের চরিত্রগুলির আভাস একটু হলেও পাওয়া যাবে।
ব্র্যান্ডের ভরসায় সিরিয়াল কি বেশি দূর চলতে পারে? ‘সঞ্জীবনী’ ধারাবাহিকের প্রযোজক সিদ্ধার্থ মলহোত্র বলছেন, ‘‘ব্র্যান্ড নেম একটা আগ্রহ তৈরি করে। সিরিয়াল শুরুর পরের কয়েক দিনে এটা একটা কিক দেয়। তার পরে কিন্তু ধারাবাহিককে তার জোরেই চলতে হয়। তাই ব্র্যান্ডের ভরসায় সিরিয়াল শুরু করলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না।’’
দর্শকের নজর কাড়ার জন্য নতুন ধারাবাহিকের প্রচারে ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহারের হিড়িকও লক্ষণীয়। ‘দুর্গা’ ধারাবাহিক দিয়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সন্দীপ্তা সেন। ‘দুর্গা দুর্গেশ্বরীর’ প্রচারে মুখ্য চরিত্রকে দর্শকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন সন্দীপ্তা। তবে নতুন ধারাবাহিকের চিত্রনাট্যকার সাহানা দত্তের মতে, ‘‘আগের ধারাবাহিকের সঙ্গে নতুনটির নাম ছাড়া কোনওটাতেই মিল নেই। তবে দুটো গল্পের মধ্যে মিল একটাই, মানুষের বিশ্বাস। এই অস্থির সময়ে মানুষ মিরাকলে বিশ্বাস করেন না। তাই চরম হতাশার মধ্যে ডুবে থাকা মানুষকে একটা বিশ্বাসের গল্প বলতে চেয়েছিলাম।’’
দুর্গা দুর্গেশ্বরী
‘সঞ্জীবনী’ ছাড়া বাকি তিনটি ধারাবাহিকেই মুখ্য চরিত্রে নতুন মুখ। আগের চারটি ধারাবাহিকেই মুখ্য চরিত্রে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন শিল্পীরা, সিজ়েন খান-শ্বেতা তিওয়ারি বা ঋষি কৌশিক-অপরাজিতা ঘোষের জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। তাঁদের ছাপিয়ে যাওয়া এই প্রজন্মের শিল্পীদের কাছে খুব সহজ নয়। তবে সেই তুলনায় যাতে যেতে না হয়, সেই জন্যই নতুন সিরিয়ালগুলির প্লটে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ দিকে মুখ্য চরিত্রগুলির নাম আবার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
সিনেমার মতোই জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলিও এক-একটা প্রজন্মের স্বাদের বাহক। বিনোদন শুধু আর টেলিভিশনের পর্দায় আটকে নেই। যুগও এগিয়ে গিয়েছে ডিজিটালে। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে ধারাবাহিকগুলো কি আদৌ আবেদন তৈরি করবে? ‘‘টিভি ছাড়া ওয়েব প্ল্যাটফর্মেও ধারাবাহিক দেখা যায় এখন। আর যে সিরিয়ালগুলিকে ঘিরে নস্ট্যালজিয়া রয়েছে, তা নতুন প্রজন্মের কাছেও আকর্ষক হবে,’’ আশাবাদী সিদ্ধার্থ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy