Advertisement
০৭ নভেম্বর ২০২৪
Sohini Sarkar

‘অরিন্দমদার কাছে আমি গ্রেটফুল’, বলছেন সোহিনী

ধারাবাহিকের প্রত্যেকটি দৃশ্যে সোহিনীর হাতে দেখা যাচ্ছে সাপের ট্যাটু। এটা কি আসল?

এই নিয়ে অরিন্দম শীলের সঙ্গে অনেকগুলো কাজ করলেন সোহিনী।

এই নিয়ে অরিন্দম শীলের সঙ্গে অনেকগুলো কাজ করলেন সোহিনী।

মৌসুমী বিলকিস
শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৮ ১১:৩৯
Share: Save:

ভূমিকন্যা ধারাবাহিকের হাত ধরে সোহিনী আবার ছোটপর্দায়। নানান প্রতিকূলতা পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে তাঁর চরিত্রটি। চিরাচরিত ধারাবাহিকের থেকে ভূমিকন্যা অন্যরকম বলে দাবি করছেন অনেকেই। সোহিনী কী মনে করেন?

ভূমিকন্যার রেসপন্স কেমন? জানতে চাইলে সোহিনী বললেন, ‘‘ভাল রেসপন্স পাচ্ছি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেক আলোচনা হচ্ছে। টেলিভিশনে চিরাচরিত যে গল্প আমরা যে ভাবে দেখতে অভ্যস্ত, ভূমিকন্যা সেখান থেকে বেরিয়ে এসে একটা নতুন কিছু দেখানোর প্রচেষ্টা। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও পোস্টের নীচে যখন বিভিন্ন মন্তব্য পড়ি, তখন বুঝতে পারি যে দর্শকদের ভাল লাগছে।”

এই ধারাবাহিকের বিভিন্ন দৃশ্যে অভিনেত্রীকে শারীরিক কসরত করতেও দেখা গিয়েছে। সে সব স্টান্ট দৃশ্যের জন্য আলাদা কোনও প্রস্তুতি নিয়েছেন কি? তিনি বললেন, ‘‘না, কিছু প্রস্তুতি ছিল না। ফাইট মাস্টাররা এসেছেন, দেখিয়ে দিয়েছেন। আমার তো অ্যাকশন করতে ভালই লাগে। এখানে এত অ্যাকশন সিকোয়েন্স করতে হচ্ছে, এর আগে এত বার করিনি। আমার একটা অ্যাডভান্টেজ হচ্ছে, আমি যেহেতু লম্বা এবং একটু কাঠখোট্টা, অ্যাকশন সিকোয়েন্সগুলো বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে। যদিও আমরা জ্যাকি চ্যানকে দেখেছি। আমার ধারণা উনি খুব লম্বা না হয়েও দারুণ সব অ্যাকশন সিকোয়েন্স করেছেন। পুরোটাই টেকনিক…।”

ভূমিকন্যায় বাইকও চালিয়েছেন সোহিনী।

আরও পড়ুন: ধুতির স্টাইলে শাড়ি! ‘ভূমিকন্যা’য় কী ভাবে ম্যানেজ করলেন সুদীপ্তা?​

ধারাবাহিকের কোনও কোনও দৃশ্যে বাইকও চালিয়েছেন সোহিনী। এটা কি আগে থেকেই জানতেন? অভিনেত্রী হেসে বললেন, “এখানে বাইক চালিয়েছি। কিন্তু বাস্তবে আমি বাইক চালাতে পারি না, সাইকেল চালাতে পারি। আমার খুবই ইচ্ছে বাইক চালানো শিখব। এই মুহূর্তে যদি শিখি, হাত পা ভাঙার একটা সম্ভাবনা আছে। শুটিং পণ্ড হবে। তাই এটা শেষ হয়ে গেলে শিখব। কতকগুলো সুপ্ত ইচ্ছে থাকে না? এটা তার একটা। অল্প বয়সে সাঁতার জানতাম না। লাস্ট তিন/চার বছর হল সাঁতার শিখেছি। সাইকেল চালাতেও জানতাম না। ‘ফড়িং’ করতে গিয়ে শিখেছি। এগুলো যেমন শিখেছি। ফলে জানি বাইক চালানোও শিখে ফেলব।”

ধারাবাহিকের প্রত্যেকটি দৃশ্যে সোহিনীর হাতে দেখা যাচ্ছে সাপের ট্যাটু। এটা কি আসল? ট্যাটুর পরিকল্পনাই বা কার? সোহিনী বললেন, ‘‘আমাদের যে লুক দেখছেন, অভিষেক করেছে। এটা ওরই পরিকল্পনা। এটা তো রিয়েল ট্যাটু নয়, প্রত্যেক দিন আঁকতে হয়। অনেকটা সময় লাগে। আমার চরিত্র, তড়িতা, যেহেতু সর্প বিশারদ এবং মনসার সঙ্গে জড়িত, তাই তার সঙ্গে সাপের যোগ আছে। মনসার আর এক নাম তড়িতা।”

আরও পড়ুন: তাজপুরের সমুদ্রে দর্শনা...সঙ্গে কে?

এই ধারাবাহিকের পরিচালক অরিন্দম শীলের সঙ্গে সোহিনী পর পর অনেকগুলো কাজ করলেন। সিনেমা তো বটেই, ধারাবাহিকেও তাঁকেই ভেবেছেন অরিন্দম। সে সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সোহিনী বলেন, ‘‘অরিন্দমদার কাছে আমি গ্রেটফুল। ‘দুর্গা সহায়’-এ আমাকে ভেবেছিল, সত্যবতীর চরিত্র দিয়েছে। আগামী দিনেও আশা করি ভাল কাজই করব আমরা।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE