‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম’-এর দৃশ্য (বাঁ) এবং শাহরুখ খান (ডান)
‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম’, বহু দশক ধরে এই গানটির কথায় সুরে প্রেমে পড়েছেন মানুষ। কিন্তু একটি তথ্য ভেঙে দিতে পারে সব মোহ। গানের পিছনে রয়েছে মন খারাপ করা বাস্তব। গানের শ্যুট করছিলেন শাহরুখ খান। কিন্তু তখন তাঁর দিদি হাসপাতালে ভর্তি। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন শেহনাজ লালারুখ খান।
কয়েক বছর আগে বলিউডের কিং খান একটি সাক্ষাৎকারে মানসিক অবসাদ নিয়ে কথা বলেছিলেন। সে প্রসঙ্গে উঠে আসে তাঁর পরিবারের কথা। তাঁর দিদির কথা, বাবা-মায়ের মৃত্যুর কথা। সেই পুরনো ভিডিয়োটি ফের ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে।
শাহরুখ ও লালরুখের বাবা তাজ মহম্মদ খান ১৯৮১ সালে মারা যান। তার ১০ বছরের মধ্যে তাঁদের মা, লতিফ ফতিমা খান মারা যান। শাহরুখ জানান, বাবা ও মা-কে হারানোর পরে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন লালারুখ। তিনি বাবার মতোই আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। তাজ মহম্মদ খান ও লতিফ ফতিমা খান লালারুখের জন্য যা চেয়েছিলেন, সে রকম ভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন তিনি। কিন্তু অভিভাবকহীন হওয়ার পরে নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি।
নিজের বাবার মৃত্যুর সময়ের ঘটনা বর্ণনা করেন শাহরুখ। মৃতদেহ দেখার পরে শেহনাজ পুরো চুপ করে গিয়েছিলেন। কাঁদেননি, কথা বললেন। কিন্তু মাটিতে পড়ে গিয়েছিলোন ধপ্ করে। মাথায় আঘাত লেগেছিল। তার পরে টানা দু’বছর শেহনাজ কেবল শূন্যের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। ফের মায়ের মৃত্যু। এ সমস্ত ঘটনা তাঁর শরীরে প্রভাব ফেলেছিল।
১৯৯৫ সালে ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’ ছবির শ্যুটের সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেতার দিদি। শাহরুখ তাঁকে সুইৎজারল্যান্ডে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। বিখ্যাত গান ‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম’-এর শ্যুট চলাকালীন ওখানকার একটি হাসপাতালেই দিদিকে ভর্তি করান। চিকিৎসকরা হাত তুলে দিয়েছিলেন। বাঁচতেন না লালারুখ খান। শরীরে পটাশিয়ামের ঘাটতি দেখা গিয়েছিল তাঁর। ওই অবস্থায় প্রেমের দৃশ্যে অভিনয় করতে হচ্ছিল বলিউডের রোম্যান্টিক নায়ককে।
শাহরুখ বললেন, ‘‘লালারুখ এখন ভাল আছেন। আমার পরিবারের সকলে তাঁকে খুব ভালবাসে। আমার থেকেও বেশি ভালবাসে। যন্ত্রণা লোকানোর জন্য আমি মশকরা করি, বলিউডের মোড়ক গায়ে পরি। কিন্তু আমার দিদি যে রকম সরল ভাবে জীবনটাকে যাপন করেন, সে ভাবে পারিনি। পারলে ভাল হত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy