(বাঁ দিকে) সায়রা বানু (ডান দিকে) এআর রহমান। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৯৫ সালে সায়রা বানুকে বিয়ে করেন এআর রহমান। মাত্র দু’মাসের আলাপে বিয়ে। একেবারে সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় তাঁদের। তার পর প্রায় ২৯ বছরের সংসার। তিন সন্তানের বাবা-মা। অবশেষে সেই দাম্পত্যে ইতি টানলেন তাঁরা। যদিও সায়রা ছিলেন একেবারে রহমানের মনের মতো। কারণ বিয়ের আগে রহমান জানিয়ে দিয়েছিলেন ঠিক কী কী গুণ চান না স্ত্রীয়ের মধ্যে। সেই মতো মাকে পাত্রী খুঁজতে বলেন সুরকার। কারণ সময় নেই তাঁর কাছে। তিনি ব্যস্ত হাতে ‘রঙ্গিলা’, ‘রোজ়া’, ‘বম্বে’ ছবির কাজ করে চলেছেন সেই সময়। কিন্তু মাকে আগেভাগে নিজের চাহিদা জানিয়ে দেন রহমান।
দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে যে কোনও অনুষ্ঠানে সুরকারকে স্ত্রী সায়রার সঙ্গে দেখা গিয়েছে। শেষ বার তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায় অম্বানীদের বাড়ির বিয়েতে। তার পর মাস কয়েকের মধ্যেই তাঁদের বিচ্ছেদের খবর। যদিও বরাবরই ক্যামেরার সামনে স্বামীর বাধ্য হয়েই থেকেছেন সায়রা। কখনও রহমান তাঁকে হিন্দিতে কথা বলার জন্য ধমক দিলে তৎক্ষণাৎ শুধরে নিয়েছেন। বেশ কয়েক বছর আগে টেলিভিশনের একটি চ্যাট শোয়ে এসে রহমান বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে সোজাসাপটা একজন মেয়ে দরকার ছিল। যে আমার জীবনে খুব বেশি বিড়ম্বনা তৈরি করবে না। যাতে আমি শান্তিতে সঙ্গীতচর্চা করতে পারি।’’ যে হেতু তাঁর সময় ছিল না। তাই সুরকার মাকে জানিয়েছিলেন পাত্রী খুঁজতে হবে। তাঁকে সুন্দর হতে হবে, শিক্ষিত হতে হবে এবং দয়ালু হতে হবে। যদিও সায়রার সঙ্গে বিয়ের আগেই রহমান যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গে জানান, কোথাও বাইরে ঘুরতে যাওয়া অথবা কেনাকাটা করতে যেতে পারবেন না। তাতে সম্মত হতেই বিয়ের জন্য রাজি হন সায়রা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy