অভিনেত্রী-সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
৮ মার্চ নারী দিবস। এ দিন যথারীতি নারীকে ঘিরে অনেক ভাল কথা। উপহার, উদযাপন। বিশেষ আয়োজন প্রতি বছরের মতোই। কিন্তু একচুলও কি এগোলেন নারীরা? মিমি চক্রবর্তী বিশেষ দিনে আলো ফেললেন এই দিকে। জানালেন, তিনি অভিনেত্রী-সাংসদ। তাই পরিচিত মুখ, জনপ্রিয়ও। তার পরেও বাকি নারীদের মতোই নিজের অধিকার, স্বাধীন ইচ্ছের জন্য লড়তে হয় তাঁকেও! যেমন? পর্দার ‘পুপে’ বলেছেন, ‘‘আমি জানি, 'একা মা’কে আজও সমাজের কাছে জবাব দিতে হয়, বিয়ে না করেই কী ভাবে তিনি সন্তানের মা? আর আমায়, মিমি কবে বিয়ে করবে?’’
অভিনেত্রীর আক্ষেপ, তিনি তাঁর পরিশ্রম এবং প্রতিভার জোরে জীবনে অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর পরেও যেন সমাজে, সংসারে তাঁর ভূমিকা বিয়ে আর সন্তানেই আবদ্ধ! মিমি এও জানিয়েছেন, সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাঁর কোনও অশ্রদ্ধা নেই। কিন্তু দিনের শেষে তাঁর জীবন তো তাঁরই! নিজের লড়াই লড়তে লড়তেই বড় পর্দায় একের পর এক নানা স্বাদের চরিত্র ফুটিয়ে তুলছেন তিনি। পাশাপাশি এও লক্ষ্য করেছেন, এ রকমই আরও আ-র-ও অজস্র প্রশ্ন নারীদের ঘিরে। অনেক ‘মিথ’ আজও তাঁদের বহন করতে হয়।
মিমির কথায়, ‘‘আজও কোনও মেয়ে নাইট শিফটে কাজ করলে বাঁকা চোখে তাকায় সমাজ। অতিরিক্ত ফর্সা হলে বলে, তুমি বেমানান। গায়ের রং কালো হলেও দূর ছাই করে। যে নারী শাড়িতে সুন্দর তিনি সমাজের চোখে লক্ষ্মীমন্ত, আদর্শ নারী। ছোট স্কার্ট পরলেই তিনি ভাল নন!’’ ‘ড্রাকুলা স্যর’-এর ‘মঞ্জরী’র মতে, নারীদের এ ভাবে বিচার না করাই বোধহয় ভাল। সেই সময় এসেছে। তাঁদের পেশা, পোশাক, গায়ের রং আর বিচারের জায়গায় নেই। বরং সবাই যদি সমাজে, সংসারে নারীর প্রয়োজনীয়তা বোঝেন তবে নারী দিবস সার্থক। সে দিন থেকে প্রতি দিনই সর্বত্র ‘নারীই দি বস’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy