‘দিদি নম্বর ১’-এর পোডিয়ামে রচনা নিজের প্রয়োজনীয় কী কী জিনিস রাখেন? —ফাইল চিত্র।
অনেকগুলি বছর কেটে গিয়েছে, তাঁকে বড় পর্দায় দেখেননি দর্শক। তাঁর অবশ্য বর্তমানে একটাই পরিচয়। তিনি এখন সকলের ‘দিদি’। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টলিপাড়ার দিদি হয়ে উঠেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঞ্চালিত শো ‘দিদি নম্বর ১’। মাঝে জুন মাল্য, দেবশ্রী রায়ের মতো অনেকেই এসেছেন সঞ্চালক হিসাবে, কিন্তু রচনার জনপ্রিয়তা টেক্কা দিয়েছে সবাইকে। দিনে প্রায় তিনটি পর্বের শুটিং করেন একসঙ্গে। কখনও তারকাদের নিয়ে খেলা, কখনও আবার প্রতিযোগীর আসনে থাকেন মধ্যবিত্ত পরিবারের মহিলারা।
দিনে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা তাঁর কেটে যায় নিউ টাউনের ভিতরের এই স্টুডিয়োয়। ‘দিদি নম্বর ১’ লেখা পোডিয়ামের সামনেই বহু ক্ষণ দাঁড়িয়ে দিদিদের গল্প শোনেন অভিনেত্রী। জানেন কি, ‘দিদি নম্বর ১’ লেখা এই পোডিয়ামের অন্য দিকে কী কী নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন রচনা? সেটে ঢুকে পোডিয়ামের দিকে এগোলে প্রথমেই যেটা চোখে পড়বে তা হল ছোট্ট একটা টেবিল। শটের ফাঁকে সেখানে বসেই মাঝে মাঝে বিশ্রাম নেন রচনা। টানা এত ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কঠিন। তাই ক্যামেরা বন্ধ হলেই এই টেবিলে বসে একটু জিরিয়ে নেন নায়িকা। তা ছাড়াও এই পোডিয়ামে থাকে একগুচ্ছ জিনিস।
এত ক্ষণ শুটিং করলে খিদে তো পাবেই। তাই হাতের কাছে নিজের প্রয়োজনীয় সব কিছুই রেখে দেন রচনা। সেখানে সবটা সাজানো লাইন দিয়ে। দুটো টিফিনের বাক্স। চায়ের কাপ। খাতা এবং পেনসিল। খাতায় লিস্ট দিয়ে লেখা বেশ কিছু ফলের তালিকা। এ ছাড়াও শো-তে যে খেলাগুলো হয় তার বেশ কিছু নিয়মকানুন। বোঝাই যাচ্ছে, সেটে যেন রচনার ছোট্ট একটা সংসার এটা।
তবে নায়িকা যে শুধুই শুটিং করেন, তা নয়। নিজের মতো ছুটি নিয়ে ঘুরতেও বেড়িয়ে পড়েন। কিছু দিন আগেই ঘুরে এসেছেন ইউরোপ। কাজের ফাঁকে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে দেশে-বিদেশে ঘোরাই হল তাঁর জীবনের এক মাত্র শখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy