তথাগতর টুইট নিয়ে ঋষির মতামত
তথাগত রায়ের শব্দচয়ন নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করলেন বিজেপি সমর্থক অভিনেতা ঋষি কৌশিক। কিন্তু তাঁর বক্তব্য নিয়ে কোনও দাবি জানাতে চাইলেন না তিনি। তবে কি বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের সঙ্গে সহমত ঋষি? সাম্প্রতিকতম টুইট বিতর্ক নিয়ে কী বললেন অভিনেতা?
এ বারে বিজেপি বিরোধী শিবিরের প্রতি আঙুল তোলেননি। তথাগত রায় সমালোচনায় মাতলেন দলের অন্দরেরই। বিজেপির হয়ে টিকিট পাওয়া নিয়ে তনুশ্রী চক্রবর্তী, পায়েল সরকার এবং শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। টলিউডের ৩ অভিনেত্রী এবং বিজেপি-র পরাজিত প্রার্থীকে ‘নগরের নটী’ বলে অপমান করার চেষ্টা করলেন। শুধু তাই নয়, টুইটে তিনি পুরনো কথা তুলে এনে তাঁদের প্রতি তোপ দেগেছেন। দোলের দিন গঙ্গাবক্ষে তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের সঙ্গে ৩ অভিনেত্রী রং খেলেছিলেন এবং নিজস্বী তুলেছিলেন। বর্ষীয়ান নেতার দাবি, সে ঘটনাটি বিজেপি-র অন্দরমহলে ভাল চোখে দেখেনি কেউ। সেই টুইটেই দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিব প্রকাশ, অরবিন্দ মেননের ভূমিকাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করান।
অভিনেত্রী নুসরত জাহান, শ্রীলেখা মিত্র, অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ঘটনাটি মেনে নিতে পারেননি। সরাসরি ‘নারীবিদ্বেষী’ দল বলেছেন বিজেপি-কে।
পায়েল শ্রাবন্তী পার্নো ইত্যাদি ‘নগরীর নটীরা’ নির্বাচনের টাকা নিয়ে কেলি করে বেড়িয়েছেন আর মদন মিত্রর সঙ্গে নৌকাবিলাসে গিয়ে সেলফি তুলেছেন (এবং হেরে ভূত হয়েছেন) তাঁদেরকে টিকিট দিয়েছিল কে ? কেনই বা দিয়েছিল? দিলীপ-কৈলাশ-শিবপ্রকাশ-অরবিন্দ প্রভুরা একটু আলোকপাত করবেন কি ?
— Tathagata Roy (@tathagata2) May 4, 2021
এমনই সময়ে বিজেপি সমর্থক ঋষি কৌশিকের সঙ্গে যোগাযোগ করল আনন্দবাজার ডিজিটাল। স্পষ্ট করে তাঁর মতামত পেশ করতে নারাজ অভিনেতা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমি কখনও নির্বাচনে লড়িনি। তাই এই নিয়ে আমার মন্তব্য করা উচিত নয়। যিনি যা বলছেন, সেটা তাঁর নিজস্ব মতামত। তবে হ্যাঁ, অসম্মান করে কথা বলা উচিত হয়নি তথাগত রায়ের।’’ টুইটে যে যে শব্দবন্ধ ব্যবহার করা হয়েছে, তা নিয়ে আপত্তি রয়েছে ঋষির। কিন্তু তিনি বিজেপিকে ‘নারীবিদ্বেষী’ দল বলে মানতে চান না।
তবে কেন রুদ্রনীল ঘোষ এবং যশ দাশগুপ্তর কথা বলা হল না? প্রশ্নের জবাবে ঋষি বললেন, ‘‘হ্যাঁ, তাঁরাও দলে এসেই টিকিট পেয়েছেন এবং হেরেছেন। সে কথা মানছি। আমার মনে হয়, এখানে অন্য একটা রাগ কাজ করেছে। মদন মিত্রর সঙ্গে ছবি তোলা, সময় কাটানো, এগুলো হয়তো অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এ কথাও ঠিক, তৃণমূল থেকে তো মদন মিত্রকে কিছু বলা হচ্ছে না।’’
ঋষি মনে করেন, কারও রাগ হতেই পারে। দলে যাঁরা অনেক দিন ধরে কাজ করেও টিকিট পাননি, তাঁদের সামনে নতুন সদস্যরা এসেই প্রার্থী হয়ে গেলেন। সেই নিয়ে যদি কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেন, তাতে অভিনেতার কিছু বলার নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy