নাক-মুখ তো বটেই, কণ্ঠস্বরেও কোনও পার্থক্য নেই! চেনা ভঙ্গিতে বসেছেন। নিজের নাম বলে অনুরাগীদের সম্বোধন করছেন। অথচ বিদ্যা বালনের দাবি, ‘এ আমি সে আমি নই’! শনিবার রাতে এ ভাবেই বিদ্যা সতর্ক করলেন তাঁর অনুরাগীদের। সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়ো ভাগ করে অভিনেত্রীর দাবি, “পুরোটাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারসাজি। আমার নকল বানিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমাকে না জানিয়েই। দয়া করে আপনারা এই ফাঁদে পা দেবেন না!” বলা কথা লেখার আকারেও ভাগ করেছেন বিদ্যা।
খ্যাতি যেমন আছে, খ্যাতির বিড়ম্বনাও রয়েছে। সমাজ যত বিজ্ঞানমনস্ক হয়েছে ততই প্রাসঙ্গিক ‘মানুষের জীবনে বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ’ প্রসঙ্গটি। এ ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির কথাই ধরা যাক। একা বিদ্যা নন, এর আগে এই বিশেষ পদ্ধতির ফাঁদে পড়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন, রশ্মিকা মন্দানা, আলিয়া ভট্ট, ক্যাটরিনা কইফ, রণবীর সিংহ, আমির খান, শচীন তেন্ডুলকর এবং আরও অনেকে। এঁদের মধ্যে দীপিকা, আলিয়া, রশ্মিকা, ক্যাটরিনার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় তৈরি ছবি অশ্লীল এবং আপত্তিজনক। যে কারণে তাঁরা অনুরাগীদের কাছে অকারণ লাঞ্ছিত হয়েছেন। নিজেদের সম্মান বাঁচাতে দ্বারস্থ হয়েছেন আদালতের। এ বার বুঝি বিদ্যার পালা!
আরও পড়ুন:
যদিও নকল বিদ্যার ভিডিয়ো বলছে, অভিনেত্রীকে অশ্লীল ভাবে দেখানো হয়নি। তাঁর মুখে বসানো হয়েছে এমন কিছু বক্তব্য যার সঙ্গে সহমত নন তিনি নিজেই। বিদ্যার এখানেই আপত্তি। তাঁর দাবি, “আমি যা বিশ্বাস করি না সেটাই ‘নকল’ আমি-র মুখে বসানো। যা দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছেন অনুরাগীরা। এই ধরনের প্রযুক্তি ভীষণ অপছন্দ করি।” যে কারণে নিজেই এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না, বিদ্যাও শেষে এআই প্রযুক্তির খপ্পরে!