চাহাতের দাবি, এক লাইনের বক্তব্যকে এত বড় করে তোলার কোনও মানে ছিল না। ফাইল চিত্র
দেশের তরুণ প্রজন্মকে বিপথে নিয়ে যাচ্ছেন উরফি জাভেদ— প্রকাশ্যে চেতন ভগতের এই মন্তব্যের পরই নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়েছে। লেখকের মুখোশ খুলে দিতে তাঁর সঙ্গে কিছু কথোপকথনের নমুনা প্রকাশ্যে এনেছেন উরফিও। যাতে বিতর্কের আঁচ আরও উস্কেছে। যদিও ‘টু স্টেটস’ ঔপন্যাসিকের বদলে উরফির চরিত্রে কালি লেপতেই বেশি আগ্রহী একাংশ। শৌখিনীকে একহাত নিলেন অভিনেত্রী চাহাত খন্নাও। মঙ্গলবার এক সাক্ষাৎকারে চাহাত বললেন, “চেতন ভগত এক জন সম্মাননীয় ব্যক্তি। আমার ভাল লাগছে যে মানুষ সে কথাই বলছেন এখনও। তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করা এত সহজ নয়। তবু এক জন চেষ্টা করে চলেছে। লোকে অবশ্য তার বিরুদ্ধেই কথা বলছেন।” উরফির নাম না করেই চাহাত আরও জানান, চেতনের সাম্প্রতিক মন্তব্য তিনি শুনেছেন। কিন্তু তাঁর দাবি, সেই এক লাইনের বক্তব্যকে এত বড় করে তোলার কোনও মানে ছিল না। নজর কাড়তেই এ সব নিয়ে জলঘোলা করছেন উরফি। চাহাতের দাবি, আসলে উরফির প্রশংসাই করেছিলেন চেতন। তাঁর কথায়, “অনেক মার্জিত ভাবে চেতন কথাটা বলেছিলেন। যে অর্থ করা হয়েছে তা অতিরঞ্জিত। মেয়েরা ছেলেদের ধ্যানভঙ্গ করে, এতে খারাপ কী আছে? প্রশংসাই তো করেছিলেন আসলে! আমি কিছু ভুল দেখিনি।”
চাহাতের মন্তব্যের পর ফের ক্ষেপে যান উরফি। সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিয়ো ট্যাগ করে উরফি লেখেন, “যা বললেন মনে রাখবেন। ভবিষ্যতে এক দিন যখন আপনার মেয়ে বড় হবে এবং কোনও পুরুষ তাকে হেনস্থা করবে, আপনি পুরুষটির দোষই দেখবেন তো? আসলে, ঘৃণা আপনাকে গ্রাস করেছে। পুরুষদের কৃতকর্মের জন্য মহিলাদের দোষারোপ করা বন্ধ করুন। চেতন ভগত সম্মাননীয় ব্যক্তি নন, তিনি অর্ধেক বয়সি মহিলাদের যৌনতার প্রস্তাব দেন (আমি চ্যাটগুলিও আপলোড করেছি)। আপনি আমার বিরোধিতা করে আক্ষরিক অর্থে নারীজাতিকে অপমান করছেন।” উরফি আরও জানান, ছোট পোশাক তিনি যেমন পরেন, চাহাতও পরেন। ইনস্টাগ্রামে চাহাতের বিকিনি পরা ছবি দেখিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু এখন প্রচারের জন্য উরফির নাম ব্যবহার করা বন্ধ করলেই ভাল হয়। উরফির সাফ কথা, “ভাল করেই জানেন, আমার নাম না নিলে সমাজমাধ্যমের কোনও পেজেই আপনাকে নিয়ে কোনও পোস্ট হবে না, তা-ই করছেন।”
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ভারতীয় যুবসমাজ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন চেতন। সেখানেই লেখক টেনে আনেন উরফিকে। চেতনের ওই অনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘এখনকার ভারতীয় যুবসমাজ কেবল মেয়েদের ছবিতে লাইক দিতে জানে। তাই উরফি জাভেদের ছবিতে কোটি কোটি লাইক পড়ে।’’ এখানেই থেমে যাননি চেতন। আরও বলেন, ‘‘এক দিকে সীমান্তে থাকা জওয়ান যাঁরা কার্গিলে বসে দেশকে রক্ষা করছেন। অন্য দিকে, আর এক দল কম্বলের তলায় ঢুকে উরফির ছবি দেখছে।’’
এ দিকে ছেড়ে দেওয়ার পাত্রী নন উরফিও। মি টু আন্দোলনের সময়কার কথা চেতনকে মনে করিয়ে দেন তিনি। মি টু আন্দোলনের সময় চেতনের বিরুদ্ধে একাধিক মহিলা হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। তার পর অবশ্য ক্ষমা চেয়ে নেন চেতন। সেই সব স্ক্রিনশট নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে উরফি শেয়ারও করেন।উরফি বলেন, ‘‘ওঁর মতো মানুষ সব সময় মেয়েদের দোষই খোঁজেন। এক জন নারীকে তাঁর পোশাক দিয়েই বিচার করেন। তুমি বিকৃতমনস্ক বলে এমন নয় যে, মেয়েটার দোষ রয়েছে।’’ শেষে উরফির সংযোজন ছিল, ‘‘উনি খামোকা আমার নাম টানলেন, দুর্ভাগ্যজনক। এতে নিজেরই যে ভাবমূর্তি নষ্ট করলেন লেখক!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy