বহু অভিনেত্রীর কেরিয়ারের রেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী হতে দেননি বলিপাড়ার এই প্রযোজক-পরিচালক, এমনই অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডে স্বজনপোষণ নীতি এবং নানাবিধ কূটনৈতিক কার্যকলাপের নেপথ্যেই নাকি রয়েছেন কর্ণ জোহর। বহু অভিনেত্রীর কেরিয়ারের রেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী হতে দেননি বলিপাড়ার এই প্রযোজক-পরিচালক, এমনই অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। অনুষ্কা শর্মার কেরিয়ার নষ্ট করে দেওয়া নিয়ে কর্ণের স্বীকারোক্তি প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভিডিয়োতেই। পুরনো সেই ভিডিয়ো হঠাৎ ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন কর্ণ।
সেই আবহে সম্পাদক-লেখক অপূর্ব আসরানিও কটাক্ষ-বাণে বিদ্ধ করলেন কর্ণকে। আঙুল তুললেন কর্ণের ছবির বিষয়বস্তু নিয়েও। সমকামিতা বিষয়ে সমাজচলতি কিছু ভুল ধারণাকেই পর্দায় বড় করে দেখিয়েছেন কর্ণ, এমনই অভিযোগ অপূর্বের। উদাহরণ হিসাবে ‘দোস্তানা’(২০০৮) এবং ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ (২০১২) ছবি দু’টির কথা উল্লেখ করেন তিনি। দু’টি ছবিকেই ‘ক্ষতিকারক’ বলে দাগিয়ে দিলেন অপূর্ব।
সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানি চলাকালীন নিয়মিত টুইট করতেন অপূর্ব। এক টুইটার ব্যবহারকারী কর্ণের ছবির বিষয়ে বলেছিলেন, “সমকামী পুরুষদের কিছু বস্তাপচা ধারণাকে চিরস্থায়ী করে রাখতে চেয়েছে এই ছবি দু’টি। তাই আমি ওঁর কাজ পছন্দ করি না।”
এরই প্রতিক্রিয়ায় অপূর্ব লেখেন, “শুধু কর্ণের দোষ নয়, বলিউডে সমকামীদের ছোট করে দেখানোর একটা প্রবণতা চালু রয়েছে।”
এই প্রসঙ্গে অবশ্য তিনি জানিয়েছেন, কর্ণের ‘কপূর অ্যান্ড সন্স’-এর মতো ছবিটিকে তাঁর সংবেদনশীল বলে মনে হয়েছে। সমকামিতাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া ‘কপূর অ্যান্ড সন্স’-এ অভিনয় করেছিলেন ঋষি কপূর, রত্না পাঠক শাহ, রজত কপূর প্রমুখ। ছবিটি বক্স অফিসে ভাল বাণিজ্য করেছিল, সমালোচকদের প্রশংসাও পেয়েছিল।
কর্ণ নিজেও এক জন ঘোষিত সমকামী। বলিউডের বহু নায়কের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তাঁর। কর্ণের ছবিতেও বিভিন্ন সময় এসে পড়েছে সমকামিতা এবং সমপ্রেমের প্রসঙ্গ। কিন্তু নিজে একজন সমকামী হয়ে ছবিতে কী ভাবে সমপ্রেমকে খাটো করেন পরিচালক, সে প্রশ্নও তোলেন অনেকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy