৫ মার্চ ঠাণের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন শীজ়ান। —ফাইল চিত্র
দু’দিন হল অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার মৃত্যুর মামলায় জামিনে ছাড়া পেয়েছেন তাঁর প্রেমিক শীজ়ান খান। অভিযোগ ছিল, তুনিশাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছেন তিনি। ২৫ ডিসেম্বর থেকে প্রায় তিন মাস জেলে ছিলেন শীজ়ান। শেষমেশ বাড়ি আসায় স্বস্তিতে তাঁর পরিবার। যদিও মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।
তাঁরা খুশি এবং আবেগতাড়িতও। ভাইয়ের এই কারাবাস কতটা প্রভাব ফেলেছিল তাঁদের পরিবারের উপর, জানালেন শীজ়ানের দিদি শফক নাজ়।
তাঁর কথায়, ‘‘সময় যেন কাটতেই চাইছিল না। ভাইকে আবার ফিরে পাওয়ার জন্য আমরা অপেক্ষা করছিলাম শুধু। ওকে শেষ কবে ছুঁয়েছি, এক বার জড়িয়ে ধরেছি...এগুলোই মনে পড়ছিল। কেঁদে আকুল হয়েছি, তবু কাছে পাইনি। শুধু জেলে যখন দেখা করতে যেতাম, কাচের দরজার ওপারে শীজ়ানকে চোখে দেখেছি। ইন্টারকমে কথা বলেছি। প্রতীক্ষার প্রহর গুনেছি, কবে ওকে বাড়ি আনতে পারব!”
অবশেষে গত রবিবার ঠাণের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পেলেন শীজ়ান। তিন মাসের মাথায় তাঁর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে মহারাষ্ট্রের আদালত। ৪ মার্চ ১ লক্ষ টাকার চুক্তিতে জামিন মিলেছে অভিনেতার। তাঁর পাসপোর্টও জমা নিয়ে নেওয়া হয়েছে শনিবার। দেশের বাইরে যাওয়ার অনুমতি নেই তাঁর এখন।
শফকের কথায়, “সত্যি বলতে কী, আমাদের পৃথিবীটা ২৪ ডিসেম্বর থেমে গিয়েছিল। পৃথিবী ঘুরছিল, কিন্তু আমরা থেমে গিয়েছিলাম।শীজ়ান সব থেকে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। জেলে ও আমাদের সকলের চেয়ে দূরে ছিল। কিন্তু খুব শক্ত মনের ছেলে বলেই সবটার সঙ্গে ও যুঝে নিয়েছে। এই ঘটনা ওর উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেললেও ও লড়ে গিয়েছে, আজ ফিরতে পেরেছে।”
‘আলি বাবা দাস্তান-ই-কাবুল’-এর সেটে ১৫ মিনিটের বিরতির সময় শৌচালয়ে ঢুকে নিজেকে শেষ করে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী তুনিশা শর্মা। তাঁর মায়ের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তুনিশার সহ-অভিনেতা ও প্রেমিক শীজ়ানকে। সেই ঘটনার মাত্র পনেরো দিন আগেই তুনিশা আর শীজ়ানের বিচ্ছেদ হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy