দু’জনেরই গালে হলুদ-চন্দনের পরশ, হাসতে হাসতে একে অপরের গায়ে ঢলে পড়ছেন নবদম্পতি। ছবি—ইনস্টাগ্রাম
বিয়ের কিছু রঙিন ছবি জমিয়ে রেখেছিলেন কিয়ারা আডবাণী। হলুদ-চন্দনে মাখামাখি বরকনে, সোহাগে ভরা খুনসুটির মুহূর্ত—গায়েহলুদের দিনের সে সব ছবি দোলের দিন সকালে ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী। ট্যাগ করলেন সদ্য বিবাহিত স্বামী সিদ্ধার্থ মলহোত্রকে। নবদম্পতির তরফে অনুরাগীদের উদ্দেশে ভেসে এল শুভেচ্ছাবার্তা। কিয়ারা লিখেছেন, “হোলির শুভেচ্ছা আমার এবং ভালবাসার মানুষের তরফে, তোমাদের এবং তোমাদের ভালবাসার মানুষদের জন্য।”
গেরুয়া রঙের উজ্জ্বল এক পোশাকের সঙ্গে ফুলের সাজে কিয়ারা। তার সঙ্গে রং মিলিয়ে গেরুয়া শেরওয়ানিতে সিদ্ধার্থ। দু’জনেরই গালে হলুদ-চন্দনের পরশ। হাসতে হাসতে একে অপরের গায়ে ঢলে পড়ছেন কোনও ছবিতে। এমন একগুচ্ছ না দেখা মুহূর্ত তুলে ধরলেন অনুরাগীদের জন্য। ভালবাসায় ভরিয়ে তারকাজুটিকে পাল্টা শুভেচ্ছাবার্তা দিলেন তাঁরাও। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই গাঁটছড়া বেঁধেছেন। বিয়ের এখনও এক মাসও পুরো হয়নি। প্রেমের আমেজ ছেড়ে যে এখনও বেরোননি সিদ্ধার্থ ও কিয়ারা, তার প্রমাণ মিলল আবার।
দিন কয়েক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল কিয়ারার হোলির সাজ। সমাজমাধ্যমে নিজের গোলাপি পোশাক পরা ছবি পোস্ট করে কিয়ারা লিখেছিলেন ‘‘টুনাইট আই অ্যাম ফিলিং পিঙ্ক!’’ কিয়ারার ওই ছবির নীচে সিদ্ধার্থ লেখেন, ‘‘আমাকেও তোমার গোলাপি রঙে রাঙিয়ে দাও!’’ সিদ্ধার্থের এই প্রেমিক অবতার দেখে খুশি হয়েছিলেন অনুরাগীরাও। অনেকেই বলছেন, ‘‘এই জন্যই তো আমাদের সমাজমাধ্যমে থাকা!’’
বসন্তের মাঝামাঝি জয়সলমেরের সূর্যগড় প্রাসাদে চারহাত এক হয়েছে সিড ও কিয়ারার। গায়েহলুদ, মেহেন্দি, সঙ্গীত— সব আচার-অনুষ্ঠান করেই সাত পাক ঘুরেছেন দুই তারকা। বর-কনের আত্মীয়-পরিজন ও বন্ধুবান্ধব ছাড়া বিয়েতে আমন্ত্রিতের তালিকায় ছিল কর্ণ জোহর, শাহিদ কপূর, ঈশা অম্বানীর মতো তাবড় নাম। সেখান থেকে সিদ্ধার্থের সঙ্গে দিল্লিতে শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন কিয়ারা। তার পর মুম্বইয়ে ফিরে চলচ্চিত্র জগতের সবার জন্য রিসেপশন পার্টির আয়োজন করেছিলেন নবদম্পতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy