রানার দাবি, টলিপাড়ায় এমন গুঞ্জন রটেছে যে, কুন্তলের অর্থেই নাকি তিনি ছবি বানান! গ্রাফিক্স—সনৎ সিংহ
কুন্তল ঘোষ হাজতে বলে আর সিনেমা বানাতে পারবেন না রানা সরকার! টলিপাড়ায় রটেছে সেই গুজব। এমন দাবি অনেকেরই। তেমনটা দাবি করছেন স্বয়ং রানাও। আর তার জবাব দিতে পরিচালক ও প্রযোজক সমাজমাধ্যমে জ্বালাময়ী পোস্ট করেছেন। তদন্ত চেয়ে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জও ছুড়েছেন।
রানা দাবি করেছেন, তাঁর একটি পয়সাও যে অবৈধ নয়, তা তিনি জোর গলায় বলতে পারেন। ফেসবুকে রানা লিখেছেন, ‘‘শুনলাম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে গুজব আমি নাকি কুন্তল ঘোষের টাকা নিয়ে সিনেমা বানাই, তাই আমি এখন আর কোনও সিনেমা বানাতে পারব না। আমি ইডি বা সিবিআই তদন্তকারীদের অনুরোধ করছি আমি কার টাকা নিয়ে সিনেমা বানাই সেই নিয়ে তদন্ত করুন।’’
আরও লিখেছেন, ‘‘সবাই সবাইকে চিটিংবাজ বা ফ্রড ভাবে, তাই স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে আমি এই তদন্তের মুখোমুখি হতে চাই। সঙ্গে আমি যা জানি সব জানাতে চাই তদন্তকারীদের। আসুন, দুধ কা দুধ পানি কা পানি হয়ে যাক!’’ অতীতেও নানা কারণে টলিপাড়ার চর্চায় এসেছে রানার নাম। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম মন্তব্যের জন্য শিরোনামে উঠে এসেছেন প্রযোজক-পরিচালক। নিজের বক্তব্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে নিজেকে নির্ভীক বলেই দাবি করেন। এ বার মন্তব্য করলেন গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল যুবনেতা কুন্তলকে টেনে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে কুন্তল এখন সিবিআই হেফাজতে। এ দিকে রানার দাবি, টলিপাড়ায় এমন গুঞ্জন রটেছে যে কুন্তলের অর্থেই নাকি তিনি ছবি বানান! সেই গুঞ্জনে এমনটাও নাকি শোনা যাচ্ছে যে, কুন্তল গ্রেফতার হওয়ায় রানার ছবি বানানোও আপাতত আর হবে না।
এই পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ করবেন রানা? আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে তাঁর কাছে প্রশ্ন করা হলে রানা বলেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে লোকের টাকার এত রকম উৎস যে, সবাই ভাবে সবাই চিটিংবাজির পয়সায় সিনেমা বানাচ্ছে। কিন্তু এমন তো কেউ থাকতেই পারেন যাঁর ন্যায়ের পথে অর্জিত অর্থ রয়েছে। তাঁর তো কাউকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শুনলাম এ রকম গুজব বাজারে, আমি নাকি কুন্তল ঘোষের টাকায় সিনেমা বানাই। সে গ্রেফতার হয়েছে বলে আমি আর সিনেমা বানাতে পারব না। আমি তাই বলছি, তদন্ত করে দেখা হোক।’’
এর আগে ‘মানবজমিন’ মুক্তির পর ছবির ব্যবসার হিসাব দিয়েছিলেন রানা। স্পষ্ট অঙ্ক তুলে ধরায় তাঁকে কুর্নিশ করেছিলেন অনেকেই। রানা জানান, অতীতেও বৈধ টাকায় ছবি করেছেন পরেও করবেন। তবে নিজেকে প্রমাণ করার দায় রয়েছে, জানালেন রানা। যদি সত্যিই তদন্ত হয় তিনি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, নথিপত্র সব দেখাতে পারবেন। তাঁর দাবি, ইন্ডাস্ট্রিতে বেনোজল ঢুকে পড়ায় ঠিকঠাক কাজও হচ্ছে না। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক অসৎ লোক রয়েছে যাঁরা অসৎ পথের টাকায় সিনেমা করছে বলে ছবির মান পড়ছে। রানার কথায়, ‘‘আমি জোর গলায় বলছি, সৎ পথে কাজ করছি। আমি চাইব, অন্যান্য প্রযোজক, পরিচালকও নিজেদের প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ নিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy