সরব টলিপাড়া
উদ্ধার কোটি কোটি টাকা, রাশি রাশি সোনা। তার জেরে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ঘিরেই আপাতত সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় শিরোনামে দু’জনেই। পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতা পেশায় অভিনেত্রী জানার পরে আরও বেড়েছে শোরগোল। প্রশ্ন উঠছে, গ্ল্যামার, ক্যামেরার ঝলকানি, অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষাই তাঁর অধঃপতনের মূলে? এই প্রলোভন এড়িয়ে যাওয়া কি এতটাই কঠিন? জবাবে কী বলছেন টলিপাড়ার অভিনেত্রীরা ?
অপরাজিতা আঢ্য
প্রথমত, আমি এই অর্পিতাকে চিনি না। কোন ছবিতে অভিনয় করেছে, জানা নেই। আজকাল কোনও বড় ঘটনা ঘটলে, কেউ আত্মহত্যা করলে তাঁকে অভিনেত্রী বা মডেলের তকমা দিয়ে দেওয়া হয়। যা অর্থহীন। আর দ্বিতীয়ত, খ্যাতি বা টাকার নেশার ক্ষেত্রে বিভিন্ন মানুষের মানসিকতা ভিন্ন। কেউ কাজের সূত্রে বিখ্যাত হতে চান। সেই প্রচেষ্টা এক রকম। হাতছানি, প্রলোভন বরাবরই ছিল। কে তাতে সাড়া দেবে, সেটা তার ব্যাপার। কিন্তু এই ধরনের ঘটনায় গোটা ইন্ডাস্ট্রির বদনাম হচ্ছে। আর তার জন্য কিছুটা দায়ী সংবাদমাধ্যমও।
ঋ
আসলে গত সাত-দশ বছরে সকলের জীবন এখন টাকা-কেন্দ্রিক হয়ে গিয়েছে। আমরা যখন কেরিয়ার শুরু করেছি, তখন কাজ শেখার আকাঙ্ক্ষা ছিল। নিজেকে ভাল রাখার জন্য যতটা রোজগার করা যায়, ততটাই। অতিরিক্ত কোনও কিছু ছিল না। এত সোশ্যাল মিডিয়াও ছিল না তখন। এখনকার মতো সর্বত্র সবাই অভিনয়কে পেশা করতে চাইত না। একটাই কথা বলব। রয়েসয়ে, বুঝেশুনে পা ফেলা উচিত। তাহলেই নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া যায়। বাড়িতে কোটি কোটি টাকা থাকলে আমি তো টেনশনেই মরে যেতাম!
দেবযানী চট্টোপাধ্যায়
নিজেকে সামলে রাখা মোটেই কঠিন নয়। অভিনয় জগতের গ্ল্যামার নয়, এ ক্ষেত্রে প্রলোভন শুধুই টাকার। এগুলো ছোটবেলা থেকে চরিত্রগঠনের উপর নির্ভর করে। এমন অর্পিতারা সমাজের প্রতিটা স্তরে রয়েছে। আর এই অর্পিতাদের তৈরি করে এমন পার্থরাই, যাতে প্রয়োজন মতো তাঁদের ব্যবহার করা যায়। কেউ নিজেকে কোন পথে চালিত করবে, তা নির্ভর করে ছোট থেকে বেড়ে ওঠা ও চারপাশের পরিবেশের উপরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy