গত বুধবার থেকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল ঐন্দ্রিলাকে ফাইল চিত্র।
পুরোপুরি জ্ঞান না ফিরলেও কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের প্রয়োজন ফুরিয়েছে ঐন্দ্রিলা শর্মার। ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে স্বাভাবিক শয্যায় এলেন অভিনেত্রী। তাঁর শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক, জানালেন সঙ্গী সব্যসাচী চৌধুরী।
রক্তচাপ স্বাভাবিক। দেহে অক্সিজেনের মাত্রা স্থিথিশীল। স্নায়ুও সক্রিয়। অতল ঘুম পাতলা হয়ে আসছে অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার। সোমবার সুখবর এসেছিল হাসপাতাল সূত্রেই। সেই খবর নিশ্চিত করে আশ্বস্ত করলেন সব্যসাচী। সোমবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে সব্যসাচী লেখেন, ‘‘হাসপাতালে ছয় দিন পূর্ণ হলো আজ, ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ’’
বিগত কয়েক দিন এই লড়াইয়ে পাশে ছিলেন ঐন্দ্রিলার বাবা-মাও। এই প্রসঙ্গে সব্যসাচী আরও লেখেন, ‘‘ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সাথে হাসপাতালে থাকতে আসে। আর আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সাথে। গলা চিনতে পারে, হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়, দরদর করে ঘাম হয়, হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি।’’
আচমকা ব্রেন স্ট্রোক হয়ে গত চার দিন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অভিনেত্রী। জানা গিয়েছিল, শরীরের এক দিক পুরো অসাড়। বাঁ হাত সামান্য নাড়াচাড়া করতে পারছিলেন। তাঁর আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা করছিল গোটা টলিউড। অবশেষে এল স্বস্তির খবর। সোমবার সকালেই হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়, সাড়া দিচ্ছে ঐন্দ্রিলার শরীরের বাঁ দিক। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, বিপদ কাটেনি। পর্যবেক্ষণে রাখা হবে অভিনেত্রীকে।
মঙ্গলবার রাতে ঐন্দ্রিলা অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সব্যসাচীই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে সব্যসাচী লেখেন, ‘‘নিজের হাতে করে নিয়ে এসেছিলাম, নিজের হাতে করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাব। এর অন্যথা কিছু হবে না।’’ সব্যসাচী আরও লিখেছিলেন, ‘‘জেনে রাখুন, মেয়েটা লড়ে যাচ্ছে। সঙ্গে লড়ছে একটা গোটা হাসপাতাল।’’ এই মুহূর্তে সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার সম্পর্ক যেন সকলের কাছেই এক রূপকথা। গত দু’বারের মতো এ বারও যাতে লড়াই করেন সেই কামনাই করছেন তাঁর অনুরাগীরা। মতি নন্দীর ‘কোনি’ উপন্যাসের ক্ষিদ্দার মতো মতো অনেকেই হয়তো বলেছেন, ‘ফাইট ঐন্দ্রিলা, ফাইট।’ সেই অনুপ্রেরণাই কি পৌঁছে গেল ঐন্দ্রিলার কানে?
এর আগে দু’বার ক্যানসারকে হারিয়ে ফিরে এসেছেন ঐন্দ্রিলা। তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে ছায়ার মতো রয়েছেন সব্যসাচী। গত দু’বার সব্যসাচীর সাহচর্যে সঙ্কটাপন্ন অবস্থা থেকে ফিরে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা। কাজও শুরু করেছিলেন। এ বারও ঐন্দ্রিলা অসুস্থ হয়ে পড়ার পর থেকে সব্যসাচী রয়েছেন তাঁর পাশে। একটু একটু করে সেরে উঠছেন লড়াকু অভিনেত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy