‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’ ছবির পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। ছবি: সংগৃহীত।
‘স্টার থিয়েটার’-এর নাম বদলে যাবে, পরিচিতি পাবে বিনোদিনী দাসীর নামে। মানত করেছিলেন পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায়। দক্ষিণেশ্বরের মা ভবতারিণীর কাছে নিজের মনের ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছিলেন, এমনটা যে দিন সত্যি হবে, সে দিন দক্ষিণেশ্বরের গঙ্গায় প্রদীপ জ্বালাবেন তিনি। একটি, দু’টি নয়— বঞ্চনার যত বছর পর ন্যায় আসবে, ততগুলি। ১৮৮৩ সালে স্টার থিয়েটার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। সেই থিয়েটারের নাম হওয়ার কথা ছিল ‘বি থিয়েটার’। হয়নি। প্রতারিতই হয়েছিলেন নটী বিনোদিনী। ১৪১ বছর পর ‘হেরিটেজ’ নাম বদলে হয়েছে ‘বিনোদিনী থিয়েটার’। মনস্কামনা পূরণ হওয়ায় রামকমল গেলেন দক্ষিণেশ্বর। জ্বালালেন ১৪০টি প্রদীপ। সঙ্গে ছিলেন পর্দার নটী, রুক্মিণী মৈত্র।
রামকমল আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, এক সময় এই মানসিকের বিষয়টি তিনি বলেছিলেন রুক্মিণীকে। নাম বদলের পর নায়িকাই তাঁকে মনে করিয়ে দেন সে কথা। ভবতারিণী মাকে দেওয়া কথা পূরণ করতেই তাঁরা দক্ষিণেশ্বর যাচ্ছেন। আগামী ২৩ জানুয়ারি পর্দায় মুক্তি পাবে ‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’। তার আগেই মানতপূরণ।
রামকমল বলেন, “যখন আমাদের এই ছবির শুটিং চলছে, তখন বিভিন্ন অবসরে এ সব বিষয় নিয়ে কথা হত রুক্মিণীর সঙ্গে। আমি চাইতাম যে অবিচার, যে প্রতারণা নটী বিনোদিনীর সঙ্গে হয়েছিল তার একটা প্রতিকার হোক। কিন্তু বাঙালি কোনও দিনই এ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামায়নি। এমনকি বছর চল্লিশ আগে দীনেন গুপ্ত একটি মাত্র ছায়াছবি নির্মাণ করেছিলেন নটী বিনোদিনীকে নিয়ে।” রামকমলের দাবি, তিনি যখন বলতেন থিয়েটারের নাম বদলে যাওয়া প্রয়োজন, তখন অনেকেই হাসাহাসি করতেন। কী ভাবে একটি হেরিটেজ সম্পত্তির নাম বদলে যেতে পারে! কিন্তু ঈশ্বরের কাছে সেই প্রার্থনা রেখেছিলেন পরিচালক। অবশেষে তা পূরণ হয়েছে।
নিজের ছবির পাশাপাশি রুক্মিণী নটী বিনোদিনীর জীবন নিয়ে সমান ভাবে উত্তেজিত। তিনি বলেন, “২০১৯ সালে প্রথম যখন রামকমল মুম্বই থেকে আমার সঙ্গে কথা বলেন ছবিটির জন্য, তখন থেকেই এই বিষয় নিয়ে কথা চলছে। একটাই কথা, আমরা কি এই ছবিটির মাধ্যমে নটী বিনোদিনীর প্রাপ্য সম্মানটা ফিরিয়ে দিতে পারব! কোনও ভাবে কি ‘স্টার থিয়েটার’কে বিনোদিনীর নামে করে দেওয়া যাবে! এটা আমার এবং রামের খুব ইচ্ছা ছিল। রামের মানত ছিল, যতগুলি বছর কেটেছে বঞ্চনার, ততগুলি প্রদীপ আমরা জ্বালব। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে সেই মানতপূরণ হয়েছে। আমরা মা কালীর আশীর্বাদ নিতে যাচ্ছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy