শেষ ছবির একটি দৃশ্যে প্রত্যুষা।
১ এপ্রিল, ২০১৬। ঠিক এক বছর আগে আজকের দিনেই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল ‘বালিকা বধূ’ খ্যাত অভিনেত্রী প্রত্যুষা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুম্বইতে নিজের ফ্ল্যাটে পাওয়া যায় তাঁর মৃতদেহ। হত্যা নাকি আত্মহত্যা সে নিয়ে এক বছর পরেও চলছে আলোচনা। সন্দেহের তির ছিল প্রত্যুষার বয়ফ্রেন্ড রাহুল রাজ সিংহের দিকে।
প্রত্যুষা মৃত্যুর ঠিক দেড় মাস আগে একটি শর্টফিল্মের শুটিং করেছিলেন। ওই ছবিতে অভিনয় করেছেন প্রত্যুষার ঘনিষ্ঠ বন্ধু কাম্য পঞ্জাবিও। ওই ছবির পরিচালক নিরুশা নিখাতের দাবি, ওই শর্টফিল্মেই ধরা রয়েছে প্রত্যুষার জীবনের শেষ কয়েকটি দিন। গল্পে আন্দাজ পাওয়া যাবে কী ভয়ঙ্কর মানসিক চাপ ছিল তাঁর ওপর।
আরও পড়ুন, প্রত্যুষার নাম ব্যবহার করে টাকা রোজগার করতে চাইছে কাম্য, অভিযোগ রাহুলের
নিরুশার কথায়, ‘‘যখন প্রত্যুষার সঙ্গে শুটিং করছিলাম ও খুব আপসেট ছিল। কাম্যর তখনও এই ছবিতে কাজ করার কোনও কথাই ঠিল না। হঠাত্ একদিন কাম্য সেটে আসার পর ওকে দেখে প্রত্যুষা চিত্কার করে কেঁদে ওঠে। রাহুলকে অনেক কিছু নিয়ে সন্দেহ করত। কিন্তু ওকে পাগলের মতো ভালবাসত।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, সেটে রক্তবমি করে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রত্যুষা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিত্সকরা জানান, অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে ও শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। ওকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দিলেও জোর করে নাকি বাড়ি চলে আসেন নায়িকা।
তখন সুসময়। রাহুলের সঙ্গে প্রত্যুষা। ছবি: সংগৃহীত।
নিরুশা বলেছেন, ‘‘আমার বিচারব্যবস্থার ওপর সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে। আর ‘হম কুছ কহে না সকে’ ছবির হিরোর নাম রাহুল রাখতে চেয়েছিল প্রত্যুষা। এই ছবিটা থেকে ওর জীবনের শেষ কয়েক দিনের কিছুটা বোঝা যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy