সেদিনই তিনি ঠিক করেছিলেন, একদিন এমন জায়গায় পৌঁছবেন, যেখানে দাঁড়িয়ে এই সমস্যার মুখে তাঁদের পড়তে হবে না। এগিয়ে চলার পথ বন্ধুর জেনেও পা বাড়িয়েছিলেন তিনি। চলার পথে হাতিয়ার করেছিলেন নাচকে। তবে পড়াশোনাতেও মেধাবী ছিলেন তিনি। কিন্তু স্কুলের দিনগুলিতে নাচের প্রতিযোগিতায় একের পর এক পুরস্কার তাঁর আগ্রহ বাড়িয়ে দেয় নাচের দিকেই।
প্রথম দিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এবং আগ্রহীদের বাড়িতে গিয়ে নাচ শেখাতেন টেরেন্স। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়ও ছিলেন তিনি। কিছু দিন পর নিজেই স্কুল শুরু করলেন। কিন্তু এ বার তিনি ধাক্কা খেলেন। তাঁর স্কুলে ছাত্রছাত্রী একেবারেই হল না। ফলে পসার না জমায় বেশ কিছুটা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে তিনি স্কুল বন্ধ করে দিলেন।
মাধুরী দীক্ষিত, সুস্মিতা সেন, বিপাশা বসুকে অ্যারোবিক্স শেখাতেন টেরেন্স। তাঁর কাছে প্রশিক্ষণ নিতেন শাহরুখের স্ত্রী গৌরী এবং আমিরের প্রাক্তন স্ত্রী রীনাও। সে সময় ‘লগান’-এর শুটিং চলছিল। ‘ও রে ছোড়ি’ গানের মধ্যে আমির খান এবং র্যাচেল শেলির একটি বলডান্সের সিকোয়েন্স ছিল। তার জন্য কোরিয়োগ্রাফার খুঁজছিলেন আমির। তাঁর কাছে টেরেন্সকে নিয়ে যান রীনা।
এর কারণ হিসেবে টেরেন্স দায়ী করেন পরিচিত ‘গুরশিষ্য’ প্রথাকেই। পরোক্ষভাবে স্বজনপোষণেরই নামান্তর এই রীতি। টেরেন্সের মত, ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কোনও ‘গুরু কোরিয়াগ্রোফার’ নেই। তাই তাঁর কাছে কাজ আসে না। তার জন্য অবশ্য কোনও আক্ষেপ নেই টেরেন্সের। কারণ ছবিতে সুযোগ না পেলেও টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো-এ বিচারক হিসেবে টেরেন্সের জায়গা বাঁধা। ‘ডান্স ইন্ডিয়া ডান্স’, ‘নাচ বালিয়ে’,‘দ্য ড্রামা কোম্পানি’, ‘ডান্স প্লাস’, ‘ইন্ডিয়াজ বেস্ট ডান্সার’-এর মতো শো-এর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে বিচারকের আসনে টেরেন্সের উপস্থিতি।
সাক্ষাৎকারে টেরেন্স জানিয়েছেন, তিনি টেলিভিশনে কাজ করে খুশি। নতুন প্রজন্মকে নিজের হাতে সেই মঞ্চে তৈরি করে নিতে পারেন তিনি। ভাল সুযোগ পেলে ছবিতেও কাজ করবেন। কিন্তু তার জন্য নিজে কারও কাছে কাজ চাইতে পারবেন না। তাঁর কথায়, যখন হিন্দি ছবির নায়িকাদের ফিটনেস প্রশিক্ষক ছিলেন, তখনও মুখ ফুটে কাজ চাননি। এখনও চাইতে পারবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy