অপমান উড়িয়ে বাঁচতে শিখেছেন স্বস্তিকা।
কখনও তাঁর ‘সাহসী’ সাজ, কখনও তাঁর চুলের কায়দা, কখনও বা স্বাধীন জীবনযাপন— বার বারই চর্চায় উঠে এসেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তাঁর একের পর এক পোস্টে কুমন্তব্য, কদর্য ইঙ্গিত কিংবা কটাক্ষের বন্যাও প্রায়শই দেখেছে নেটমাধ্যম। এমনকি কোনও বিষয়ে নিজস্ব মতামত জানালেও উড়ে এসেছে সমালোচনা। যাঁকে নিয়ে এত কাণ্ড, সেই স্বস্তিকা এ সব নিয়ে কতটা ভাবেন?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁর বিরুদ্ধে এমন নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন অভিনেত্রী। এমন কুমন্তব্যের পাহাড় কি তাঁকে দুঃখ দেয়? নাকি মনের জোরে সে সব উড়িয়ে দেন স্বস্তিকা? জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ‘তাসের ঘর’-এর অভিনেত্রীকে।
সোজাসুজি প্রশ্নের একেবারে সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়েছেন স্বস্তিকা। ইন্ডাস্ট্রিতে বরাবরই যাঁর নাম স্পষ্টবাদীর তালিকায়। অভিনেত্রীর বক্তব্য, ‘‘নেটমাধ্যমে আসার শুরুর দিনগুলোয় এ ধরনের নেতিবাচকতা আঘাত দিত। ভাবতে খারাপ লাগত, মানুষ কী ভাবে বিনা কারণে এমন কদর্য ব্যবহার করেন, কী করে অচেনা এক মহিলার উদ্দেশ্যে অনায়াসে কুমন্তব্য করে দেন। তার পরে এক দিন বুঝলাম, খারাপটাকে এড়িয়ে ভালটুকু বেছে নেওয়া জরুরি। আর কোনটা আমার মনে প্রভাব ফেলবে, তা বেছে নিতে হবে আমাকেই।’’
‘পাতাল লোক’-এর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে নজর কাড়া অভিনেত্রীর মতে— কোনটা দেখার, কোনটা বিশ্বাস করার কিংবা কোনটা গুরুত্ব দেওয়ার, তা নিজেকেই ঠিক করতে হয়। নেটমাধ্যমে কে কী মন্তব্য করবে, তা নিয়ন্ত্রণ করার কোনও পথ নেই। তাই এখন আর মন খারাপ হয় না স্বস্তিকার। নিজের পোস্টে ভিড় করা মন্তব্য এড়িয়ে চলতে শিখে গিয়েছেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি।
আপাতত নিজের নতুন ওটিটি সিরিজ ‘এসকেপ লাইভ’-এর মুক্তির অপেক্ষায় স্বস্তিকা। নিজেই জানিয়েছেন, তাতে এক নির্দয়, স্বার্থান্বেষী রেস্তরাঁ-কর্ত্রীর চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy