Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Sushmita Sen

মাত্র ১৮ বছর বয়সে যৌনতার কথা! বাবা-মায়ের সঙ্গেও লড়াই করতে হয়েছিল সুস্মিতাকে

ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরীর খেতাব পাওয়ার পরে বহু সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সুস্মিতা। অতীত খুঁড়ে সেই সব কথাই রিয়া চক্রবর্তীর পডকাস্টে তুলে আনলেন অভিনেত্রী।

Sushmita Sen revealed that she had to fight a lot with her parents for her bold opinions

সুস্মিতা সেন। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৪ ১৬:১৮
Share: Save:

মাত্র ১৮ বছর বয়সে ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরীর মুকুট পরেছিলেন সুস্মিতা সেন। দেশকে গর্বিত করেছিলেন। তবে সেই সময়ে সুস্মিতার বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত ছিল না মানুষ। এমনকি, সুস্মিতার বাবা-মাও মেয়েকে বলে দিয়েছিলেন, সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে যেন কোনও ভাবেই তিনি ‘সেক্স’ শব্দটি উচ্চারণ না করেন। অতীত খুঁড়ে সেই সব কথাই রিয়া চক্রবর্তীর পডকাস্টে তুলে আনলেন অভিনেত্রী।

ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরীর খেতাব পাওয়ার পরে বহু সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সুস্মিতা। মাত্র ১৮ বছর বয়সে সাক্ষাৎকারে যৌনতা নিয়ে কথা বলার বিষয়টি মেনে নিতে পারছিলেন না সুস্মিতার বাবা-মা। সুস্মিতা বলেন, “বাবা-মা এক দিন আমার সঙ্গে কথা বলতে বসেন। ওঁরা বলেছিলেন, ‘তোমার কাঁধে এখন অনেক দায়িত্ব। তাই ভেবে কথা বলা উচিত। ১৮ বছর বয়সে সেক্স শব্দ উল্লেখ করার কী দরকার। শোভা দে তোমায় নিয়ে খারাপ কথা লিখছেন’।”

এর পরে শোভা দে-র সাক্ষাৎকারে গিয়ে ইচ্ছে করেই সেই ‘সেক্স’ শব্দটির ব্যবহার করেছিলেন তিনি। সমাজের গতে বাঁধা ধারণা ভাঙার জন্যই এই বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন বলে জানান প্রাক্তন ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরী। তাঁর কথায়, “সেই সময় সত্যিই অনেক লড়াই করতে হয়েছিল। এমনকি, বাবা-মাও ভেবেছিলেন, শিশুদের উপর আমার জন্য খারাপ প্রভাব পড়বে কারণ আমি খুব খোলাখুলি কথা বলতাম।”

বরাবরই তিনি নিজের শর্তে বাঁচতে ভালবাসেন। মাত্র ২৪ বছর বয়সে এক কন্যা সন্তানের দত্তক নিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি রেনে ও আলিশা দুই কন্যার মা। দু’জনকেই দত্তক নিয়েছিলেন অভিনেত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sushmita Sen Bollywood
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE