মায়ের অভাব সন্তানদের টের পেতেই দেননি তৌকির খান। ছবি: সংগৃহীত।
মা চলে গিয়েছেন যখন, তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর। সেই থেকে বাবার কাছেই মানুষ হতে হয় সুম্বুল তৌকিরকে। তাতে অবশ্য কোনও আক্ষেপ নেই অভিনেত্রীর, বরং জানান, বাবা তাঁকে দারুণ ভাবে বড় করেছেন। মায়ের অভাব মেয়েকে টের পেতেই দেননি তৌকির খান। কিন্তু একা পুরুষ অভিভাবক হয়ে কন্যাসন্তানের বয়ঃসন্ধি সামলানো কি মুখের কথা? তা-ও নাকি দক্ষ হাতেই করতে পেরেছিলেন তৌকির। কন্যা রজঃস্বলা হতেই শিখিয়ে দিয়েছিলেন দিনযাপনের নিয়মকানুন, বুঝিয়েছিলেন বিজ্ঞান। তাই সুম্বুলের সঙ্গে তাঁর বাবার সম্পর্ক অনন্যসাধারণ। এক কথায়, একটু বেশিই ‘সহজ’।
বর্তমানে টেলিভিশন দুনিয়ায় জনপ্রিয় মুখ সুম্বুল তৌকির। ‘বিগ বস্ ১৬’-র সেটেও সাড়া ফেলেছিলেন অভিনেত্রী। সেখানেও বলেছিলেন বাবার গল্প, যা গল্পের মতো শোনালেও একেবারে সত্যি। সুম্বুলকে বলতে শোনা যায়, “ছোটবেলায় যেটা আমি পাইনি...জানি না অবশ্য সেটা ঠিক কী, তবে মা কাছে ছিল না। বাবার সঙ্গে থেকেছি। এখনও অবধি দ্বিতীয় কারও সাহচর্য বা পরামর্শ প্রয়োজন হয়নি।”
সুম্বুল জানান, প্রথম যে বার রজঃস্বলা হলেন, বাবাই তাঁকে সাহায্য করেছিলেন। তাঁর কথায়, “রক্ত দেখে বাবাকে বলেছিলাম। দ্বিতীয় কেউ তো ছিল না। বাবা সব বুঝিয়ে দিয়েছিল। কোনও অসুবিধে হয়নি। কখনও অস্বস্তি বোধ করিনি।”
সুম্বুলের দাবি, বাড়িতে এক জন মহিলা থাকলে আলাদা কী সুবিধা হত, তিনি জানেন না। সুম্বুল আর তাঁর ছোট বোনকে একই রকম যত্নে বড় করেছেন তৌকির। সকালে ঘুম থেকে তোলা, প্রাতরাশ বানানো থেকে শুরু করে দুই মেয়েকে স্কুলের জন্য তৈরি করা— সবই একা হাতে হাসিমুখে করতেন বাবা, ‘বিগ বস’-এর ঘরে সেই গল্প ভাগ করে নিয়েছিলেন সুম্বুল। মেয়ে প্রতিযোগী থাকাকালীন তৌকিরও তাঁকে সমর্থন জুগিয়ে গিয়েছেন বাইরে থেকে। সুম্বুল জানান, ‘বিগ বস্’ তাঁকে অনেক বেশি শক্তিশালী করেছে মনের দিক থেকে। যে যা-ই বলুক, এখন অনেক বেশি শান্ত-সমাহিত মন নিয়ে বিরাজ করছেন বলে দাবি সুম্বুলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy